‘জৈন হাওয়ালা কাণ্ড নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন ‘ছোট বোন’ মমতা’, দাবি ধনকরের
সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে চার্জশিটে নাম ছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর মধ্যে থাকা সমস্যা কারোর অজানা নয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল এর সম্পর্কে বলতে গেলে একেবারে আদায় কাঁচকলায়। প্রথম থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেছেন জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর অভিযুক্ত। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে তার অভিযোগ উড়িয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেছেন, জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে আমার নাম ছিল না চার্জশিটে। মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যাই হোক না, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই তরজা আবারো সামনে উঠে এলো।
অভিযোগের পরে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের সামনে অসত্য কথা প্রকাশ করছেন। উনার মত একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এর কাছে এই রকম আচরণ আশা করি না। জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে চার্জশিটে আমার নাম নেই। কখনো ভাবি নি মমতার মত নেতা উত্তেজনা তৈরি করার জন্য এমন মন্তব্য করবেন।”
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেরপর এক অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিদ্ধ করলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানিয়ে দিলেন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। তিনি বললেন, ” উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পরে বাজেট অধিবেশনে ভাষণের খসড়া পেয়েছিলাম। সেখানে দেখি বহু অবাস্তব তথ্য রয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দেওয়ার পরেই তিনি আমাকে ফোন করলেন, এবং বললেন মন্ত্রিসভা খসড়া পাশ করেছে আমার কিছু করার নেই। তারপরেই আমার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য পরিবেশন করে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ”
জৈন হাওয়ালা কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বললেন, ” চার্জশিটে যাদের নাম ছিল তারা বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। যশবন্ত সিনহা, অজিত পাঁজা সবাই অভিযোগমুক্ত হয়েছিলেন। আমারতো চার্জশিটে নামক অবধি ছিল না। সত্যিটা কি আপনারা খুঁজে বের করুন। দয়া করে চুপ থাকবেন না। গণতন্ত্রে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।” এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের ছোট বোন বলে উল্লেখ করে রাজ্যপাল বললেন, ” ভারতীয় সংস্কৃতিতে বোনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যায় না তাই মমতা বন্দোপাধ্যায় অসত্য তথ্য দিলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করব না। “