অপরাধি তার অপরাধ থেকে ছাড়া পায় না, শাস্তি তাকে পেতেই হয়। একের পর এক শাস্তি সেই বিশ্বাসকেই জোরালো করে। ২০০৮ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রাজস্থানের জয়পুর শহর কে যেভাবে আতঙ্কের সম্মুখীন করে তুলেছিল তার প্রায় এক দশক পর শুক্রবার জয়পুরের বিশেষ আদালত সেই বিস্ফোরণের চার দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি প্রদান করল।
২০০৮ সালে রাজস্থানের মানকচক ও কোতওয়ালি থানা এলাকায় ১৫ মিনিটের মধ্যে একাধিকবার বিস্ফোরণ ঘটে, তার পরে ক্রমাগত বিস্ফোরণ হয় ত্রিপলিয়া বাজার, হনুমান মন্দির, জেহরি বাজার, মানসচক, বাড়ি চৌপল ও চোটি চৌপল এলাকায়। নিহত হন প্রায় ৮০ জন ও আহতের সংখ্যা প্রায় ১৭০ জন।
আরও পড়ুন : ফাঁসি নয়, উন্নাও কান্ডে কুলদীপের সাঁজা যাবজ্জীবন, সাথে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা
গত বুধবার জয়পুর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় রায়দান হয়। তবে এক অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পায় কারণ তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তার নাম শাহবাজ হুসেন। বাকি চারজন যাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয় তাদের নাম হল সইফুর রহমান, সারভার আজমি, মহম্মদ সইফ ও সলমান। এদের ইউএপিএ বিস্ফোরণ আইন ও পিডিপিপি আইনে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
জয়পুর ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূলে আরিজ খান যার আরেক নাম জুনেদ ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ এর সদস্য একাধারে দিল্লি অহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণেও যার হাত আছে বলে অভিযোগ তাকে ২০১৮ সালে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তদন্তের পর অভিযোগের নিশানায় উঠে আসে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন ‘হরকত- উল -জিহাদি’র নাম।