আইইডি ব্যবহার করে কি বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের রেলস্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল? জাকির কাণ্ডে এবং সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তারা বলছেন, তাদের সন্দেহের তালিকায় আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রসঙ্গ কিন্তু রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণস্থল এর কিছুটা দূর থেকে একটি তারের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। তার সেই সঙ্গে রেললাইন থেকে পাওয়া ব্যাটারির টুকরো উদ্ধার হয়েছে। এবারে সেগুলি আই ই ডি এর অংশ কিনা তা নিশ্চিত হতে পরীক্ষা করা হবে। ওই নমুনায় রাসায়নিক পদার্থ যদি ব্যাটারি এবং তার একটুকুও মিলে তাহলে আই ইডি ব্যবহার করে বিস্ফোরণের তথ্য অনেকটা জোরালো হবে ।
একই সঙ্গে উঠে আসছে, বেশ কিছু প্রশ্ন। তাহলে কি ওই বিস্ফোরক ব্যবহার করে নিমতিতা স্টেশন এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল? তাহলে কি মেকানিজম ব্যবহার করা হয়েছে। সেই নিয়ে বর্তমানে বেশ কিছুটা ধন্দে রয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। আগেই কি বিস্ফোরক প্লান্ট থেকে দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে? এমন প্রশ্ন কিন্তু উঠে আসছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে মন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ কলকাতায় আসার ট্রেন ধরার জন্য মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন এর ২ নম্বর প্লাটফর্মে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন জাকির হোসেন (Jakir Hossain)। তাকে লক্ষ্য করে ওই দিন বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে তিনি অত্যন্ত জখম হয়েছেন। বাম পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে তার। তার পাশাপাশি শরীরের একাধিক অংশে চোট রয়েছে। পায়ে সেলাই করে রাতে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ এসএসকেএম হাসপাতালে মন্ত্রীর অস্ত্রোপচার করা হয়।