বিনোদ পাল : জাপানে টাইফুন হাগিবিসের কবলে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭০ জন আহত হয়েছে।তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাপানে শনিবার আছড়ে পড়ে এই টাইফুন। এর প্রভাব সবথেকে বেশি ইচিহারা শহরে পড়েছে । সেখানে ১২ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।আরো ৮৯টি বাড়ির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সূত্রের খবর। তোমিওকা শহরে কয়েকজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গোতেম্বা শহরে এক ব্যক্তি ঝড়ের ধাক্কায় ড্রেনে ভেসে গিয়েছে।
এখনো অবধি জানা গেছে যে,প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই ঝড়ের সঙ্গে হতে পারে ব্যাপক বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ধস এবং বন্যা। পাশাপাশি সকলকে সতর্ক ও করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এত বৃষ্টি হবে যা এর আগে কোনোদিন ও দেখেনি জাপান। তবে এ ও আশঙ্কা করা হচ্ছে, সমুদ্রের জলের মাত্রাও এই ঝড়ের ফলে বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরেই বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমান।রাস্তাঘাটও অনেক বন্ধ করা হয়েছে।এটা জানা যাচ্ছে যে,এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রায় ১৯৫ কিমি প্রতি ঘন্টা।নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এটাই শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছ।তাই এখন থেকেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাপানের নানান বিভাগ। এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সবরকম ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।