করোনা আবহে ছেয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। আর এই মহামারী পরিস্থিতিতে কাউকে ফোন করলে শোনা যায় একটি কন্ঠস্বর। কন্ঠস্বরটি ফোনের ওপাশ থেকে বলে ওঠে, “করোনাভাইরাস সে পুরা দেশ লড় রহা হ্যয়, ইয়াদ রহে হামে বিমারি সে লড়না হ্যয়, বিমার সে নেহি!” এই মহামারী পরিস্থিতিতে নিরন্তর সাবধান বাণী যিনি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি আসলে কে? সেই গলার আওয়াজ আসলে দিল্লির বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সের জাসলিন ভাল্লার। তার এই স্বর প্রতিদিন আমাদের ভারতবাসীদের করোনা সংক্রমণ থেকে সতর্ক বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন।
জাসলিন ভাল্লা জানিয়েছেন, ফোন করার সময় তাঁর এই কন্ঠস্বর শুনে তাঁকে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনরা প্রশংসা করেছেন। দীর্ঘদিন ক্রীড়া জগত নিয়ে সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। এছাড়া বিগত ১০ বছর ধরে বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। তবে জাসলিন জানিয়েছেন, মানুষের সেলফোনে তাঁর গলার স্বর শোনা যাবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। করোনা ভাইরাসের কলার টিউনে তাঁর ভয়েস নেওয়ার আগে তাঁকে বলা হয়, রেকর্ড করার সময় গলার স্বরে যেনো দায়িত্ববানের ছোঁয়া থাকে এবং গম্ভীর হয়। এর পাশাপাশি তিনি জানান, মানুষের মনে কোনো কথা গেঁথে দেওয়ার মতো ভালো কাজ হয় না।
কিন্তু কিভাবে বারবার নতুন তথ্যের সঙ্গে কলার টিউন পাল্টে যায়? এই প্রশ্নের উত্তরে জাসলিন জানান, “যতবার Indian Council of Medical Research (ICMR) নতুন তথ্য প্রকাশ করে ততবার নতুন করে ভয়েস রেকর্ড করতে হয়।” ইংরেজি বা হিন্দি নয়, পাঞ্জাবিতেও তিনি করোনা ভাইরাসের কলার টিউন তৈরি করেছেন জাসলিন। তিনি জানান, “যখন কাউকে ফোন করার সময় নিজের কন্ঠস্বর শুনতে পাই তখন বেশ গর্ব হয়”। এছাড়া দিল্লির মেট্রোর দরজা খোলার সময় যে কন্ঠস্বরটি শোনা যায়, “দ্য ডোরস উইল ওপেন অন ইওর লেফ্ট, প্লিজ মাইন্ড দ্য গ্যাপ”, এটিও জাসলিন ভাল্লার।