প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা এবং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জওহর সরকারকে এবারে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি একেবারে ফাইনাল এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে দিয়ে গেলেন। জহর সরকার বর্তমানে কেন্দ্রীয় আমলাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় কয়েক জনের মধ্যে পড়েন। কেন্দ্রীয় সরকারি আমলাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার পাশাপাশি, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি আমলা হিসেবে নয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ও জহর সরকার অত্যন্ত ক্ষুরধার মস্তিষ্কের একজন মানুষ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে জহর সরকার এমন একজন মানুষ যিনি রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গভীর বুদ্ধি ধারী। তার রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা যায় না। সর্বোপরি, যদি তার মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে হয় তাহলে যেকোনো দুঁদে রাজনীতিবিদকেও দুবার ভেবে দেখতে হবে। রাজ্য সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলের বিরোধিতা করার জন্য রীতিমতো একজন শক্তিশালী সেনাপতি কে পাঠাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে অনেকেই মনে করেছিলেন যশবন্ত সিনহার মত একজন মন্ত্রী কে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই জল্পনায় সম্পূর্ণ জল ঢেলে দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী ছেড়ে যাওয়া আসনে জওহর সরকারকে পাঠাতে চলেছে তৃণমূল। আগামী 9 আগস্ট এই আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই আসনে তৃণমূলের প্রস্তাবিত মুখ হয়েছেন সরকার। এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন জহর সরকার।
সর্বভারতীয় স্তরে তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত একজন আইএএস অফিসার। এমনিতেই আলাপন বন্দোপাধ্যায় ইস্যুতে বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন জহর সরকার। আলাপনের মত একজন আইএএস অফিসার জহর বাবুকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে, এই অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বাঙালিও বটে। এই কারণেই মূলত এবং ক্ষুরধার মস্তিষ্ক সম্পন্ন বাঙালি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার কে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপিকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।