জেএনইউ ভাইস-চ্যান্সেলর ছাত্র ও শিক্ষা বিরোধী চক্রান্তের শরিক : সুজন চক্রবর্তী
কিছুদিন আগে এন ইউ বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুদ্ধিজীবী তথা বিদ্বজন সমাজের একাংশ এর তীব্র প্রতিবাদ করে। দেশের অন্যতম নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী আক্রমণ নিয়ে ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ঐশী ঘোষের আহত হবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদমাধ্যমের কাছে এক বিবৃতিতে দাবি করেন যে , তাদের সার্ভার রুমে 3 তারিখে ভাঙচুর চালানো হয় নতুন পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশনে বাধা দেবার জন্য শুধু তাই নয় এই ভাঙচুরের কারণে তাদের সার্ভার কিছুক্ষণের জন্য বসে যায়। এরপরই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ঐশী ঘোষ সহ আরো বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা হয়। কিন্তু 22 তারিখ আরটিআই এর তরফ থেকে এক চাঞ্চল্যকর বিবৃতি পেশ করা হয় যাতে বলা হয়েছে যে 3 তারিখে কোনরকম সার্ভার খারাপ হয়নি। এরপরে নতুন করে রাজনীতি মহলে শোরগোল উঠে যায় এই আরটিআই রিপোর্ট কে কেন্দ্র করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ভারতবার্তার প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিল বামপন্থী নেতা মাননীয় সুজন চক্রবর্তী এর সঙ্গে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তার মূল্যবান মতামত ভারত বার্তাকে জানান।
জেএনইউ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন নতুন ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন হতে বাধা দেবার চেষ্টা করেছে। 3 তারিখে এসে তারা ভাঙচুর চালিয়েছে যার জন্য সার্ভার কিছুক্ষণের জন্য বসে যায়। কিন্তু আর টি আই এর তরফ থেকে আজ বলা হয়েছে যে 3 তারিখে কোনরকম ভাবে কোনো সার্ভার খারাপ হয়নি। আরটিআই এর তরফ থেকে জানানো বিবৃতির সাথে জে এন ইউ এর উপাচার্যের বিবৃতির মিল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এই বিবৃতি এক রকম ভাবে উপাচার্যের বিবৃতিকে ডিফেন্ড করছে বলা যেতেই পারে। কি বলবেন এটাকে নিয়ে আপনি ?
সুজন চক্রবর্তী : এটা একটা চক্রান্ত। খুব দুর্ভাগ্যবশত যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ যারা ভাইস চ্যান্সেলর এর মতন , তারাও যখন ছাত্র দের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অংশীদার হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বনাশ করার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর নিজেই দায়ী হয়ে থাকে। এটা কখনো হতে পারে না। এটা পরিস্কার হয়ে গেল যে এটা একটা মিথ্যা না , এটা একটা কার্যকরী চক্রান্ত।
যদি এটা হয়ে থাকে তবে এটা তো অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় ! ( পুরো শেষ না হতেই )
সুজন চক্রবর্তী : এটার পর কোন কান্ড জ্ঞান থাকলে ভাইস-চ্যান্সেলরের অবিলম্বে তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। যদি তা না হয় তাহলে গভর্নমেন্টের তরফ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।
আর টি আই এর তরফ থেকে এটাও বলা হয়েছে যে 1 থেকে 5 তারিখের মধ্যে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে একবার সার্ভার বসে গিয়েছিল তাও কিছু ঘন্টার জন্য কিন্তু কোনোরকম ভাঙচুর হয়নি। শুধু তাই নয় পাঁচ তারিখে যে সংঘর্ষ হয় তার পরে দেখা যায় নর্থ গেটের বেশকিছু ঘন্টার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি সেই কারণে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় তবে কি কোন কারনেই সেদিন সিসিটিভি বন্ধ ছিল ? তাদের অভিযোগের আঙুল ছিল উপাচার্যের দিকে। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সেদিনকার নর্থ গেটের কয়েক ঘন্টার সিসিটিভি ফুটেজ নেই। কেনো নেই ? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি বলে সূত্রে খবর। কি বলবেন এটাকে নিয়ে ?
সুজন চক্রবর্তী : ভাইস-চ্যান্সেলর নিজে এই ছাত্র বিরোধী ও শিক্ষা বিরোধী চক্রান্তের শরিক।
তার মানে , ভাইস চ্যান্সেলর ছাত্রদের সাথে রাজনীতি করছেন ?
সুজন চক্রবর্তী : হ্যাঁ হ্যাঁ । একদম।
জেএনইউ এর উপাচার্যের বিবৃতিকে কেন্দ্র করে ঐশী ঘোষসহ আরো বেশ কিছু বামপন্থী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই নিয়ে ছাত্ররা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বারবার । আজকে আর টি আই এর রিপোর্টের পর যখন উপাচার্যের বিবৃতিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ( পুরো শেষ না হতেই )
সুজন চক্রবর্তী : ছাত্র দের বিরুদ্ধে যারা এফআইআর করেছে এবার তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত।
[ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস ]