কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমোদন ইতিমধ্যেই মিলেছে। আর এবারে উদ্বোধনের প্রহর গুনতে শুরু করেছে জোকা এসপ্ল্যানেড মেট্রো লাইনের জোকা তারাতলা অংশ মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জোকা থেকে তারাতলা অংশে পরিষেবা শুরু করা হবে। এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানানো না হলেও, সূত্রের খবর এখনো জোকা এবং তারাতলার মধ্যে সব স্টেশনে যেহেতু স্মার্ট গেট বসানো হয়নি তাই কিছুটা দেরি হচ্ছে এই মেট্রোর কাজ শুরু করতে। তবে খুব একটা বেশি দিন আর সময় লাগবে না এই স্মার্ট গেট বসাতে। ফলে বলা যেতে পারে খুব শীঘ্রই জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা।
দ্রুত বাণিজ্যিক শুরুর জন্য ক্রমশ চাপ বাড়ছিল মেট্রোর উপরে। সেই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরুর প্রথম দিকে কাগজের টিকিট ব্যবহার করা হতে পারে। পরবর্তীতে সমস্ত স্টেশনে স্মার্ট গেট বসে গেলে স্মার্ট কার্ড বা টোকেন এর ব্যবহার করা হতে পারে। জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে একটি ওয়ান ট্রেন সিস্টেম পরিষেবা চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ একটি মেট্র জোকা থেকে ছাড়বে আবার সেটাই তারাতলা থেকে ফের জোকায় আসবে। স্বভাবতই দুটি মেট্রোর মধ্যে ব্যবধান হবে বেশি এবং একটি মেট্রো ফসকে গেলে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের।
এই মেট্রো লাইনের মধ্যে কতগুলি স্টেশন রয়েছে? এই মুহূর্তে জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে রয়েছে মোট ছটি স্টেশন। এই পুরো দূরত্ব ৬ কিলোমিটারের এবং তার জন্য প্রতি কিলোমিটার অন্তর রয়েছে একটি করে স্টেশন। এই ছয়টি স্টেশন হলো জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা।
তবে অনেকের বক্তব্য, যদি তারাতলার পরিবর্তে মাঝেরহাট পর্যন্ত পরিষেবা শুরু করা যেত, তাহলে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে চলতে পারতো এই মেট্রো। ট্রেন লাইনের প্রচুর মানুষ ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরতে পারতেন এবং আয় বাড়তো মেট্রোর। এখন তাদের হেঁটে তারাতলা পর্যন্ত যেতে হবে। যদিও এখনই মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো চালু করা যাবে না কারণ এই লাইনে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে।