সম্প্রতি ‘জি বাংলা’য় শুরু হয়েছে বাংলা ডেইলি সোপ ‘যমুনা ঢাকি’।একবিংশ শতকে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেলেও এখনো মেয়েদের ‘ঢাক’ বাজাতে দেখা যায় না।তাই পুরুষ ঢাকির তুলনায় মহিলা ঢাকির সংখ্যা নগণ্য। এই সমস্যার উপর ভিত্তি করেই তৈরী হয়েছিল ‘যমুনা ঢাকি’-র কাহিনী। কাহিনী এগিয়ে যাচ্ছিলো যমুনার বহমানতার হাত ধরেই। কিন্তু সিরিয়ালের চিত্রনাট্যকার হঠাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করলেন এবং কাহিনীতে নতুন মোড় আনতে গিয়ে কাহিনীর অবস্থা হয়ে গেল যমুনার জলে ডুবে যাওয়ার মতো। সম্প্রতি ‘যমুনা ঢাকি’-র একটি দৃশ্য শুট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যমুনাকে একটি ক্লাবে নিয়ে এসে তার ঢাক বাজানো নিয়ে অপমান করা হচ্ছে এবং তাকে একজন ড্রামারের সাথে কম্পিটিশন করতে বলা হচ্ছে।
ড্রামার নিজের ড্রাম ও যমুনা নিজের ঢাক নিয়ে কম্পিটিশন শুরু করে।কিন্তু কম্পিটিশনের মাঝে যমুনাকে ক্লোরোফর্মড করে কিডন্যাপ করা হয়। এই দৃশ্যটি রীতিমত ট্রোল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্লাবে একসাথে ড্রাম ও ঢাক বাজানোর কম্পিটিশন রীতিমত হাস্যকর হয়ে উঠেছে। চিত্রনাট্যের এই বিকৃতির কারণে অনেকেই সিরিয়ালটি দেখার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বস্তুত কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। এই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে কতজন ঢাকি মন্ডপে ঢাক বাজানোর অনুমতি পাবেন তা বলা মুশকিল।
https://www.facebook.com/watch/?v=2756615927948474
এই পরিস্থিতিতে ঢাক বাজানোকে অপমান করে লেখা ডায়লগ গ্রামে-গঞ্জে ঢাকিদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। সাধারণত এই সমস্ত বাংলা ডেইলি সোপের দর্শকদের একটি বড় অংশ গ্রামের মানুষ। আজও দুর্গাপূজায় ঢাকিরা ঢাক বাজালেও তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব সঙ্গীন।এছাড়া সিরিয়ালের অধিকাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রী গ্রামে-গঞ্জে শো করে আয় করেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই ধরনের চিত্রনাট্য লেখা হলে গ্রামের দর্শকদের কাছে সিরিয়াল ও তার শিল্পীদের গ্রহণযোগ্যতা কতটা থাকবে তা বলা মুশকিল।