দেশে অনেক দিন ধরেই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের কথা চলছে। বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলি সারা বিশ্বজুড়, সরকারের সাহায্য নিয়ে গোটা বিশ্বে ৫জি পরিষেবা চালু করা হবে। এমনকী, বাজারে বেশ কিছু মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা এখন থেকে ৫জি মোবাইল বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’য় প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে ৫জি চালু করার কথা ভেবেছে মোদী সরকার। যদিও এনেকেই মনে করছেন এটি চালু হলে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ওপর শারীরিকভাবে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
তবে এই ফাইভ জি এলে দেশের মানুষের ক্ষতি আর প্রকৃতির ক্ষতি হতে পড়ে। এবার এই ৫ জি স্থাপনের বিরোধিতায় সরব হলেন অভিনেত্রী তথা পরিবেশকর্মী জুহি চাওলা। তিনি জানান, দেশে এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এলে এর তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রভাব পড়বে সাধারণ জনজীবন, পশুপাখি ও উদ্ভিদের উপর। তাই তিনি পরিবেশকর্মী হিসেবে কোনোভাবে চাননা এই ক্ষতিকর ৫জি নেটওয়ার্ক আসুক।
সোমবার এই দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। এই মামলার শুনানির দায়িত্বে আছেন বিচারপতি সি হরিশঙ্কর। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হবে এক বিশেষ বেঞ্চ। যদিও এই মামলাটি তিনি অন্য বেঞ্চে স্থানান্তর করেছেন। আগামী ২রা জুন এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও টেলিকম মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেয়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড করা কোনও পরীক্ষাতেই ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি নেটওয়ার্কের মানুষ ও জীবজন্তুর শরীরে কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব এখনো সামনে আসেনি।
সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল এস পি কোচার এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিশ্বের বহু দেশ আজ ৫ জি নেটওয়ার্কের সুবিধা পাচ্ছে। আএ এই পরিষেবা কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই সেই সব দেশের সাধারণ মানুষ ব্যবহার করছেন। বিশেষত করোনা পরিস্থিতিতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে সকলকেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে চিকিৎসা পরিষেবাও পেতে এই অনলাইনের ওপর আস্থা রাখতে হচ্ছে।
অন্যদিকে অভিনেত্রী জুহি এক সংবাদমাধ্যমে বলেন,’ফাইভ জি টেকনোলজি চলে এলে দেশের মানুষ ও প্রকৃতি বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আজ যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয় রশ্মি রয়েছে তার প্রায় ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হবে। সারা বছর সেই সমস্যা পোহাতে হবে জনসাধরণ ও প্রাণী-উদ্ভিদ জগৎকে। পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র এমনিতেই ক্ষতির সম্মুখীন। ফাইভ জি এলে তা একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে।’