ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলায় হাইকোর্টে আবারো মুখ পুড়লো রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি সম্পূর্ণরূপে খারিজ হয়ে গেল আজকের শুনানিতে। সোমবার মামলার শুনানিতে রাজ্য কে তীব্র ভৎসর্না করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এতগুলি রিপোর্ট জমা পড়া সত্বেও রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনে কেন একটাও রিপোর্ট জমা পড়লো না সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। সঠিক পথে তদন্ত হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন এফআইআর করা হয়নি সেই নিয়েও রাজ্যকে তুলোধোনা করলেন বিচারপতি।
পাশাপাশি তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন বৃহত্তর বেঞ্চ এর নির্দেশ আপাতত বহাল থাকবে। কলকাতা হাইকোর্টে ভোট-পরবর্তী মামলার শুনানি নিয়ে একাধিকবার সমস্যার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তিব্ৰেওয়ালের দায়ের করা মামলায় আগেও বহুবার অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। ১৮ জুন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে এই মামলা খতিয়ে দেখা হবে। সেই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা রাজ্যে এসে উপস্থিত হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রায়ের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ছিল। কিন্তু আবারও সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল।
ভোট পরবর্তী অংশের অভিযোগ এবং ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর আর্জি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একাধিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। কিন্তু রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে একটাও রিপোর্ট নেই। তখন বিচারপতি প্রশ্ন তবে কি রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের উপরে একটুও আস্থা দেখাতে পারছে না কেউ? এছাড়াও ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর এর কোন নাম গন্ধ পর্যন্ত নেই। সেই প্রশ্ন আরো একবার তুলো কলকাতা হাইকোর্ট। তার সাথে সাথেই রাজ্যের তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেছেন, যেভাবে তদন্ত হচ্ছে সেটা সঠিক পদ্ধতি নয়। সুপ্রিমকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় এই রাজ্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কিছু করেনি। এত লুকোছাপা চলছে কেন? রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতির প্রশ্ন, তাহলে কি আপনার অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনা ছেড়ে দিয়েছেন?