নাগপুর: কেউ যদি সাধারণ বা স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে শারীরিক দিক থেকে অক্ষম হয়, তাহলে সমাজের লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় তাকে। তা সে পুরুষ হোক বা নারী। সকল মানুষ নির্বিশেষে তাকে সমাজের আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এটাই তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের নিয়ম। কিন্তু শারীরিক দিক থেকে দেখতে গেলে খুবই অক্ষম হয়েও সমালোচনার শিকার হতে হয়নি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের জ্যোতি কিষানজী ওমগেকে। উল্টে তার নাম উঠেছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে।
https://www.instagram.com/p/CI1S1zfHejE/?igshid=1n4z6ypn880kf
এখন প্রশ্ন হল কী এমন করেছে এই জ্যোতি যে শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তার নাম গিনেস বুকে উঠেছে এবং তাকে সমাজের লাঞ্চনার শিকার হতে হয়নি। আসলে ২৭ বছরে পা দেওয়া জ্যোতির উচ্চতা মাত্র দু ফুট। কিন্তু এই উচ্চতাই তাকে গিনেস বুকের সম্মান এনে দিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ‘ক্ষুদ্রকায়া নারী’-র তকমা পেয়েছেন জ্যোতি। যার ফলে বর্তমানে বিভিন্ন টিভি শোতেও তার মুখ দেখা যাচ্ছে এমনকি সংগীতশিল্পী মিকা সিংয়ের একটি ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে এই দু’ফুট উচ্চতার জ্যোতিকে।
https://www.instagram.com/p/CInNlMWHKEq/?igshid=1jwy7gdnbevu5
জানা গিয়েছে, জ্যোতির যখন পাঁচ বছর বয়স ছিল, তখন তার এই শারীরিক ত্রুটি মা-বাবার চোখে ধরা পড়ে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতির মা রঞ্জনা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘মেয়ের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন এই শারীরিক ত্রুটির দিকটা আমাদের চোখে ধরা পড়ে। পাঁচ বছরের শিশুর তুলনায় জ্যোতির বৃদ্ধি ছিল উল্লেখযোগ্য রকমের কম। এর পর ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই আমরা। সেখান থেকে জানতে পারি যে, ও অ্যাকনড্রপলাসিয়া নামের এক বিশেষ বামনত্ব রোগের শিকার। প্রথমে মেয়েকে নিয়ে ভয় হলেও ধীরে ধীরে সেই ভয়টা কেটে যায়। এখন ওর জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি।
https://www.instagram.com/p/CImCsEcnwXo/?igshid=apqgkpbu9jwb
এই রোগে আক্রান্তদের উচ্চতা একটা নির্দিষ্ট সীমার পরে আর বাড়ে না। জ্যোতি তাই ২ ফুটেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন। কিন্তু এই জীবন নিয়ে কোনও অভিযোগ, অনুযোগ নেই জ্যোতির। উল্টে তার এই শারীরিক ত্রুটির জন্য তিনি যে সফলতা পেয়েছেন, এবং ভিড়ের মধ্যে তিনি সবার চেয়ে আলাদা, এটা ভেবেই নিজে গর্ব অনুভব করেন দু ফুটের এই তরুণী।
https://www.instagram.com/p/CIZ4SGNnp3k/?igshid=1hj68bpn103sx