করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনটি ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের জন্য কঠোর ছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা গত একমাস ধরে স্যোশাল মিডিয়া ও সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে মানুষের কল্পনাতীত একটি ঘটনা ঘটেছিল। ১৫ বছর বয়সী জ্যোতি কুমারী তার অসুস্থ বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ১২০০ কিলোমিটার সাইকেলে পাড়ি দিয়েছিল।
জ্যোতি কুমারী লকডাউনের আগে বাবাকে নিয়ে গুরুগ্রামে ছিল। তবে দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে তার বাবার সাথে বিহার যাওয়ার জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। সাত দিন সাইকেল চালিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছেছিল সে। এখন দেখে মনে হচ্ছে যে, তার পরিশ্রম অবশেষে পুরস্কার পেল। জীবন-পরিবর্তনের সুযোগ এসে পৌঁছেছে তার কাছে। জানা গেছে, সাইক্লিং ফেডারেশন ১৫ বছর বয়সী জ্যোতিকে পরের মাসে একটি ট্রায়ালের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
সাইক্লিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ওঙ্কার সিং সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জ্যোতি কুমারী যদি এই ট্রায়ালে সফল হয়, তাহলে সে এখানে আইজিআই স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের অত্যাধুনিক জাতীয় সাইকেলিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে এই একাডেমি এশিয়ার অন্যতম উন্নত সুবিধাযুক্ত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খেলাধুলার বিশ্ব সংস্থা ইউসিআইয়ের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
Bihar: Jyoti,who cycled around 1200 km carrying her injured father from Gurugram to their native place in Darbhanga,amid #COVID lockdown,has been offered trial by Cycling Federation of India. She says,”I’m very happy that I got offer,will go to Delhi for trial next month”.(22.05) pic.twitter.com/qNf41Zsf03
— ANI (@ANI) May 23, 2020
ওঙ্কার সিং বলেন, ‘আজ সকালে আমরা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাকে জানিয়েছি যে, লকডাউন উঠে যাওয়ার সাথে সাথে তাকে পরের মাসে দিল্লিতে ডাকা হবে। তাঁর ভ্রমণ, থাকার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সমস্ত খরচ আমরা বহন করব।’ একইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন যে, ‘যদি তার বাড়ি থেকে কেউ তার সাথে যেতে চায়, আমরা তারও অনুমতি দেব। কীভাবে তাকে ট্রায়ালের জন্য দিল্লিতে আনা যায়, সে বিষয়ে আমাদের বিহার রাজ্য ইউনিটের সাথে পরামর্শ করব।’