নিউজরাজ্য

শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ, সাহসিকতায় নেতাজি আর প্রশাসনের দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কাকলি ঘোষ দস্তিদার

Advertisement

শিক্ষায় রবীন্দ্রনাথ, সাহসিকতায় নেতাজি। আর প্রশাসনে? প্রশাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এইদিন এমনটাই বললেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এই দিন আরও একবার বহিরাগত বিষয়টিকে নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ। এইদিন তিনি বলেন,”বঙ্গে বাঙালি নেতাদের ওপর ভরসা নেই কেন্দ্র বিজেপি নেতৃত্বের। তাই জন্যই তো বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে নেতা।”

এখানেই থামেননি তৃণমূল সাংসদ। তিনি আরও বলেন,”স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিরাই কিন্তু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে নোবেল প্রাপক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিন্তু একজন বাঙালি। সাহসিকতার আরেক নাম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। আর প্রশাসনের নাম বললে যে নামটি মাথায় আসবে তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে আছে তার বিরুদ্ধে লড়ার? কেউ নেই ওই দলের। কেবল ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে আসছে। যে সব নেতারা আসছেন তাদের বাংলা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। তারা জানেন না বাংলার কৃষ্টি , বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে। তারা বাংলার মা-বোনেদের সম্মান করতে জানে না।”

সম্প্রতি বাংলা ভ্রমণে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফিরে গিয়ে বঙ্গ কে পাঁচটি জোনে ভাগ করে ৫ জন নেতাকে দায়িত্ব দেয় গেরুয়া শিবির। তারা কেউই এই রাজ্যের নন। এই অমিত শাহের ভ্রমণ এবং এই ৫ জন বাইরের নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া কে নিয়েই বিজেপিকে বহিরাগত আখ্যা দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এই বিষয়ে এইদিন কাকলি বলেন,”যে সমস্ত বিজেপি নেতা বাঙালি, তাদের ওপর মনে হয় দলের ভরসা নেই। অন্য জায়গা থেকে নেতাদের আনা হচ্ছে। বাঙালির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপি। এটা একদমই ভালো চোখে দেখছেনা বাঙালি।”

এই বিষয়ে গতকাল কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন,”১৯৩৯ সালে হেরেছিলেন সুভাষচন্দ্র বোস। নানাভাবে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল তাকে। ভারতের রাজনীতি তিনি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর আলাদা দল গঠন করেছিলেন নেতাজি। মমতা ব্যানার্জি সুভাষ চন্দ্র বোসের মতোই লড়াই করেছেন। আর সেই জন্যই পশ্চিম ও উত্তর থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে।”

Related Articles

Back to top button