বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে তাপমাত্রা। সকালের দিকে কিছুটা লোক থাকলেও দুপুরের দিকে রাস্তা কার্যত ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় অনেকটাই চিন্তায় পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। প্রসঙ্গত এ বছর বসন্তের শুরু থেকেই গরমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। দিনের পর দিন বাড়ছে রোদের তাপ। ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। গরমের আগেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর।
সবুজে ঘেরা জঙ্গলমহল এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন সকলেই। এমনিতেই এই দুইটি জেলায় তাপমাত্রার পরিমাণ একটু বেশি থাকে গরম কালে। সকাল দশটা পেরোতে না পেরোতেই বাজার এবং রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যাচ্ছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি।
বেলা বারোটার পর থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাওয়া অফিস। বাড়ির বাইরে বেরোলে হাত মুখ ঢেকে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই নয় প্রতিনিয়ত ওআরএস এবং স্যালাইন জল খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে মনে করা হচ্ছে এই সপ্তাহে বৃষ্টির তেমন কোন পূর্বাভাস নেই। বিকালের দিকে বেশ কিছু জায়গায় সামান্য কালবৈশাখী হতে পারে। তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হবে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। গ্রীষ্মের শুরুতেই লু প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।