বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে প্রধান চর্চার বিষয় শুভেন্দু ইস্যু। তখনই তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কর্পোরেশনের সামনে আলু বিক্রি করতিস! কিন্তু আজ ওনার দয়াতে চারটে মন্ত্রিত্ব, চারটে গদির মালিক এবং এছাড়াও কত পেট্রোল পাম্প তোর নামে, হিসেব করে দেখিস”। এরকম মন্তব্যের পর শুভেন্দু কল্যাণের সম্পর্ক নিয়ে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছিল রাজনীতিতে। অবশ্য সম্প্রতি রামনগরের শুভেন্দুর সভার পর উল্টো সুর শোনা গেছে কল্যাণের গলায়।
সম্প্রতি রামনগরের মেগা শো থেকে শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী তাকে দল থেকে তাড়াইনি বা তিনি নিজেও দল ছেড়ে দেননি। তার এই বক্তব্যের পর কার্যত তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়ে যায়। তার এই বক্তব্যে নির্বাচনের আগে অনেকটা স্বস্তি আসে তৃণমূল শিবিরে। আর সেই সাথে এক সপ্তাহের মাথাতেই নিজের অবস্থান কার্যত ১৮০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে শুভেন্দুর প্রতিটি কথাকে তিনি স্বাগত জানান। শুভেন্দুর সিদ্ধান্তে তিনি বেজায় খুশি।
কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন যে শিশির অধিকারী তার পিতৃস্থানীয় ব্যক্তি। শিশিরবাবুকে তিনি খুবই শ্রদ্ধা করেন। তার পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি তার ভালোবাসার আছে। এর সাথে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, “শুভেন্দুর প্রতি আমার ভালবাসা কেন থাকবে না?” এছাড়াও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি ঢাক বাজায় না, আমি বুকও বাজাই না। তবে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে আমারও কিছু ভূমিকা আছে।” তারপরই শুভেন্দু প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, আজকে রামনগরের সভার পর শুভেন্দু যা বলছে তার দলের জন্য ভালো বলেই জানিয়েছেন তিনি।