গতকাল থেকেই বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে আছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গতকাল রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে তার মন্ত্রিসভাপদ থেকে ইস্তফা দিলেন। আসলে দীর্ঘদিন ধরে রাজিবের সাথে শাসকদলের দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বারংবার রাজিব তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গলার স্বর তুলছিলেন। বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল আর বেশিদিন থাকতে চায় না। তার ওপর গত শনিবারের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভ স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দলবদলের খেলায় নিজের নাম লেখাবেন। তারপর আজ অর্থাৎ শনিবার নেতাজী জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) পদত্যাগী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গাদ্দার বলে অভিহিত করলেন।
এছাড়াও গতকাল দলের পক্ষ থেকে বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এবার কি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বৈশালী ডালমিয়া একসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেবেন? এই প্রশ্নের চাঁচাছোলা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “এ আর নতুন কি খবর। চার মাস ধরে খবর পাচ্ছি। বিজেপি ডাকছে ওনারা বলছে আসছি। স্টেপ বাই স্টেপ আসছি। একেবারে সব রেজিগনেশন দিয়ে দিলে খবর হবে কি করে। তাই একবার একজন করে বেরোচ্ছে আর নতুন খবর করে বাংলার জনতাকে চমকাচ্ছে।”
অন্যদিকে গতকাল মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, “আমার মনে অনেক চাপা ক্ষোভ ছিল। অনেক অভিমান ছিল। সেগুলো একদিনে হয়নি। আমি আড়াই বছর ধরে চিন্তা ভাবনা করার পর আজকের সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম। আমার কাছে বড় বিষয় এটাই হবে যদি আমার কাজ মানুষের মনে ছাপ ফেলতে পারে। আমার হঠাৎ করেই মন্ত্রিত্ব বদল করে দেওয়া হয়েছিল। সৌজন্যতা স্বরূপ দলের পক্ষ থেকে আমাকে জানান অব্দি হয়নি। আমি টিভি দেখে জানতে পেরেছিলাম আমি সেচ মন্ত্রী থেকে বনমন্ত্রী হয়ে গেছি।”