আর পাঁচজন হকারের মতই একজন সাধারন হকার ছিলেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর। নিজের দু’চাকা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ‘কাঁচা বাদাম’ বিক্রি করতেন তিনি। আর নিজের বিক্রির পদ্ধতিতে অভিনবত্ব আনতে নিজেই কথা লিখে সুর বসিয়ে দেন। এরপর থেকেই গান গেয়ে হকারি করতেন সকলের প্রিয় বাদামকাকু। আর তার সেই গান গেয়ে বাদাম বিক্রি করার অভিনব পদ্ধতি পছন্দ হয়েছিল বহু মানুষের। তার কথায় ও সুরে ‘কাঁচা বাদাম’ নিয়ে বাঁধা এই গান সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে পৌঁছে যায় গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে। বর্তমানে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম সেনসেশন।
বীরভূমের দুবরাজপুরে এতদিন মাটির ছোট্ট বাড়িতে থাকতেন তিনি। এখন নিজের আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভালো হতেই তার মাটিতে বাড়ির পাশেই তুলছেন পাকা বাড়ি। এই কথা বাদামবাবু জানিয়েছেন নিজেই। এমনকি বাঁদছেন গানও। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করেই তাদেরকে কিছুটা আরাম দেওয়ার জন্যই এমন করছেন ভুবন। তিনি নিজে মুখেই জানিয়েছেন, তিনি
লাখ টাকা খরচা করেই বানাচ্ছেন নিজের স্বপ্নের বাড়ি। মার্বেল বসেচ্ছেন মেঝেতে। বাড়ির বারান্দাটাকেও নিজের মনের মতো করে সাজাবেন বলেই ঠিক করেছেন বাদামকাকু। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে কথা হয়ে গেছে এক শিল্পীর সাথে, নিজেই জানিয়েছেন ভুবনবাবু। এখনো পর্যন্ত এই বাড়ির পিছনে ৬ লাখ টাকা খরচা হয়ে গেছে। আরো কিছুটা খরচা হতে পারে, তা তার কথা থেকেই জানা গেছে।
এই মুহূর্তে ষ্টার জলসার পর্দায় জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘ইস্মার্ট জোরি’র মঞ্চে স্ত্রী আদুরীর সাথে দেখা মিলছে ভুবনবাবুর। সম্প্রতি এই রিয়্যালিটি শোয়ের দৌলতে ঘুরে নিয়েছেন গোটা শহর কলকাতা। এর পাশাপাশি তার বাড়ির স্বপ্নটাও পূরণ হচ্ছে ধীরে ধীরে। এক নামি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে কথা বলা হয়েছিল বাদামবাবুর সাথে। কথায় কথায় এই সমস্ত কথা জানিয়েছেন তিনি। আর তার সাথেই বাড়ি নিয়ে বাঁধা দুকলি গানও শুনিয়েছেন, “ছিল না আমার বাসাবাড়ি। এখন হল পাকাবাড়ি।” তার গান শুনতে ভালোবাসেন অনেকেই, যা নিজেও বেশ উপভোগ করেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর।