রাজ্য

Kanchenjunga Train Accident: ৮ জন নিহত, ২৫ জন আহত, মৃত পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

Advertisement

Advertisement

আজ সকালে শিলিগুড়ির নীচবাড়ি-রাঙাপানি স্টেশনের কাছে মালগাড়ির ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ:

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়িগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সকালে নির্ধারিত সময়ে রওনা দেয়। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে পৌঁছানোর পর পিছন থেকে একটি মালগাড়ি এসে ট্রেনে ধাক্কা মারে। ধাক্কার তীব্রতায় ট্রেনের পিছনের দিকের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। জেলাশাসক, এসপি, চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া:

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেলমন্ত্রী এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। দ্রুত উদ্ধারকাজের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার ব্যাপারে জেনে অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মী এবং আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর অর্ডার দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দল কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য করবে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনার ব্যাপারে টুইট করে নিহতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে দুটি বগি একেবারেই লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। রেলের উচ্চপদস্থ অফিসারেরা সেই জায়গায় ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনিও টুইট করে নিহতের পরিবারগুলির প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেছেন, “ভারতে এইভাবে চলতে থাকা রেল দুর্ঘটনার পিছনে আসল কারণ কি?”

কারণ অনিশ্চিত:

এখনও এই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস স্টেশনের আগে দাঁড়িয়ে ছিল কি না, ওই লাইনে কেন মালগাড়ি চলে এল, সিগন্যালের কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই দার্জিলিঙে এই মুহূর্তে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। সেই কারণে অনেক জায়গাতেই দৃশ্যমান্যতার সমস্যা হচ্ছে। রেল দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, লোকো পাইলট সিগন্যাল দেখতে পারেননি ঠিক করে। থামার সিগনাল দেওয়া হয়েছিল কিন্তু লোকো পাইলট উপেক্ষা করে এগিয়ে যান। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও দুর্ঘটনায় লোকো পাইলট নিজেও নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে শিয়ালদহ আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গতিপথের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কবে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হবে সেটা এখনো পর্যন্ত বলতে পারছে না নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে।

Recent Posts