এই করোনা আবহে অভিনয় জগতের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। এই দু’বছরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গিয়েছেন অনেক ছোটখাটো অভিনেতাই। এদিক ওদিক ঘুরেও কাজ পাচ্ছেন না অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তীর্থানন্দ রাও। বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ না পাওয়ার জন্যই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে একসময় কপিল শর্মার সহকর্মী ছিলেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে চরম অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তীর্থানন্দ, সেকথা নিজেই জানিয়েছেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন একথা ঠাওর করতে পেরেই আশেপাশের প্রতিবেশীরা তাকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সুস্থ হয়ে যাওয়ায় পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ধারের দেনায় ডুবে রয়েছেন। এমনকি তার পরিবারের লোকজনও তার সাথে কেউ সম্পর্ক রাখেন না।
জানা গেছে, তীর্থানন্দ অসুস্থ থাকাকালীন তাকে কেউ হাসপাতালে দেখতে পর্যন্ত আসেননি। অভিনেতার মা ও ভাই তার সাথে ঐ একই আবাসনে থাকেন, কিন্তু একে অপরের সাথে মুখ দেখাদেখি নেই। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ইতিমধ্যেই অন্য আরেকটা বিয়ে করেছেন। এমনকি তার মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বলাই বাহুল্য, সবদিক দিয়েই রীতিমতো জর্জরিত হয়ে রয়েছেন তীর্থানন্দ রাও।
একটা সময় কপিল শর্মার সাথে কাজ করার সুযোগ এসেছিল তীর্থানন্দের। তিনি নিজে তার সাথে কাজ করার অফার দিয়েছিলেন তাকে। জানা গেছে, সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর তার শোতে কাজ করার জন্য কপিল শর্মা অফার দিয়েছিলেন তীর্থানন্দকে। কিন্তু সেই সময় তিনি একটি গুজরাটি ছবিতে কাজ করছিলেন বলে তিনি সেই কাজের অফারটি নিতে পারেননি। এমনকি সাক্ষাৎকারে তিনি এও জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি কপিল শর্মার কাছে যাবেন কাজের সন্ধানে।