গত রবিবার কাশ্মীর সাক্ষী থাকলো ডিসেম্বরের শীতলতম দিনের। এইদিন পারদ নেমে তাপমাত্রা দাঁড়ায় -৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। লাদাখের পাহলগাম এবং ড্রাস অঞ্চলে তাপমাত্রা মাপা হয়েছে যথাক্রমে -১০.৫ এবং -২৮.৭ সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস অনুযায়ী কাশ্মীর উপত্যকায় আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জম্মু অঞ্চলেও -৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়েছে যা বছরের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি কম ফলে সেখানেও চরম পরিস্থিতি চলছে। আবহাওয়া দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন বানিহাল এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাপা হয়েছে -২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাশ্মীরের বানিহাল-শ্রীনগর-বারমুল্লা অঞ্চলে বেশিরভাগ জায়গা বরফে ঢেকে যাওয়ায় সেখানে রেলের বরফ কাটা মেশিন দিয়ে রেলপথ পরিষ্কার করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশা উত্তর ভারতে, ব্যাহত রেল ও বিমান চলাচল
রিয়াসি জেলার বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে আসা তীর্থযাত্রীদের বেসক্যাম্প কাতরায় তাপমাত্রা ছিল ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শুক্রবারের এই রাতকে শীতলতম রাত হিসেবেও শোনা যাচ্ছে। স্থানীয়দের মতে এটিকে বলা হয় ‘চিল্লাই কালান’।অর্থাৎ শীতের কঠিনতম ৪০ দিন।
এই সময় এই অঞ্চলে ক্রমাগত তুষারপাত হয় এবং তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এটি ২১ শে ডিসেম্বর শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ শে জানুয়ারি। কিন্তু এরপরেও যে কাশ্মীরের তাপমাত্রা চরম ভাবে কম থাকবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী কয়েদিনে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।এরপর হয়তো এই ঠান্ডার হাত থেকে একটু হলেও রেহাই পাওয়া যাবে।