শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার সবই রয়েছে আগের মতন। কিন্তু ভক্তরা সব যে যার ঘরে বন্দী ঘর থেকে আপাতত ঈশ্বর, আল্লাহ, যীশুখ্রীষ্ট, গুরু নানকের প্রার্থনা চলছে। ভাবলে অবাক লাগে যে মন্দির একদিন ভক্ত সমাগমে হৈ হৈ করে উঠলো, যীশুর সামনে প্রার্থনা করতেন সকলে মিলে, কিংবা নামাজ পড়া হতো মসজিদ গুলোতে, আজ করোনা ভাইরাস এর জন্য সব প্রার্থনাই হচ্ছে বাড়িতে থেকে।
দীর্ঘ ৬ মাস বরফের জন্য বন্ধ থাকে কেদারনাথ মন্দির। ছ মাস পরে প্রথমবার খোলা হল মন্দিরের দরজা নতুন কিছু নয় বছরের পর বছর এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে কিন্তু নতুন যা হলো তা হলো ভক্তের সমাগম নেই ভক্ত কেদারনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গণ। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছরই ভোর তিনটে নাগাদ মন্দিরের দরজা খোলেন মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত।
এই নীরব এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বি ডি সিং দেবস্থানাম বোর্ডের রিপ্রেজেন্টেটিভ, পাঞ্চঘাইয়ের কুড়ি জন সদস্য এই মন্দির খোলা এবং আরতির সময় উপস্থিত ছিলেন। সাথে উপস্থিত ছিলেন ১৫ জন পুলিশ কর্মী এবং প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। প্রশাসনিক তরফ থেকেই জানানো হয়েছিল, কোনো ভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এবারে কোন রকম তীর্থযাত্রীকে এই সময় আসতে দেওয়া যাবেনা।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবান্দ্রম সিং রাওয়াত এটি টুইটারে টুইট করে বলেন, “আমার মনে হয়, জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথের দরজা সমস্ত নিয়মকানুন পালন করে খোলা হয়েছে। আমি বাবা কেদারনাথের কাছে প্রার্থনা করেছি সকলের আশা যাতে পূর্ণ হয়। তার আশীর্বাদ যেন সকলের মাথার ওপর বর্ষিত হয়। আমি প্রার্থনা করেছি এই মানবকূলকে জানো বাবা কেদারনাথ করোনার হাত থেকে বাঁচায়।” বার্ষিক চার ধাম এর দরজা এই ভাবেই পরপর খোলা হয় গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা হয়েছে কেদারনাথের পরে ১৫ ই মে খোলা হবে বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা। যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ চারধাম নামে পরিচিত।