রাজ্যে ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে সংক্রমণের সংখ্যা কম করা যায় এই উদ্দেশ্যে, কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে নেওয়া হলো বিশেষ পদক্ষেপ। বিভিন্ন সংক্রমিত এলাকায় অ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়াতে শুরু করা হয়েছে। এই কাজ করছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যেই বেলগাছিয়া, নারকেলডাঙা, বেনিয়াপুকুর বসতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং জানবাজার ও ঢাকুরিয়ায় ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম’ এক ফোঁটা করে দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তের পরিবার ও প্রতিবেশীদের।
জানা গেছে কলকাতার ২৬৪ টি কনটেনমেন্ট জোনে করোনার নতুন সংক্রমণ আটকাতে লকডাউনের পাশাপাশি এই ওষুধগুলি মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যেসব ব্যাক্তির হার্ট ও কিডনির অসুখ, ডায়াবেটিস এবং চোখে গ্লুকোমা জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের নিয়ম মেনে অ্যালোপ্যাথির হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হচ্ছে।”
শুধু তাই নয় বেলগাছিয়া বসতি অঞ্চলে সংক্রমণ রুখতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডও স্প্রে করা হয়েছে। যা বাতাসে দীর্ঘদিন ভেসে থেকে ভাইরাস ও জীবাণুকে ধ্বংস করছে। কলকাতার আক্রান্ত সংখ্যা নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে একটি তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে বেলগাছিয়া, নারকেলডাঙা, জানবাজার, তালতলা থেকে নতুন আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অনেকটাই কম।