ভয়াবহ হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, জেনে নিন সরকারের নয়া গাইডলাইন
রাজ্য সরকার ১১ দফা নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে
গত বছরের মার্চ মাস থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ববাসী। চলতি বছরের শুরুতে ভারতে এই প্যানডেমিকের প্রভাব কিছুটা কমলেও চলতি মাসের শুরু থেকে ফের পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ ইতিমধ্যেই ২ লাখ ৩৪ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়েছে যা ভারতের সর্বকালের রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত। গোটা দেশের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যের সংক্রমণ সংখ্যা। আসলে ভোট আবহে রাজ্যের জেলায় জেলায় চলছে জনসভা ও রোড শো। সেখানে মাস্ক ছাড়াই সামাজিক দূরত্বকে তোয়াক্কা না করে মানুষ মেলামেশা করছে। আর তাতেই হয়েছে সর্বনাশ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ ৮ হাজারের গন্ডি স্পর্শ করেছে। শুধুমাত্র শহর কলকাতায় সংক্রমণ ২ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তরের এই ভয়াবহ রিপোর্টে উদ্বেগে পড়েছে গোটা রাজ্যবাসী। আর এই রিপোর্টের পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। গতকালই জরুরী বৈঠক ডেকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা সম্বন্ধে সবিস্তারে জেনে নিন।
- বাজার, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রা করলেও মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক।
- রাজ্য সরকারের অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে। রোটেশন পদ্ধতিতে এখন কাজ চলবে।
- বেসরকারি অফিসগুলি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করবে।
- কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নিশ্চিত করতে হবে যে সেই অফিসে সবাই মাস্ক পরছে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে।
- যে সমস্ত অফিস বা কমপ্লেক্সে মানুষের আনাগোনা বেশি সেখানে সপ্তাহে একবার করে স্যানিটাইজেশন করতে হবে।
- সমস্ত বাজারগুলিকে স্যানিটাইজেশন করা বাধ্যতামূলক।
- দোকান, বাজার, কাজের জায়গায় যাতে একসাথে অনেক মানুষ না ভিড় জমায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- শপিং মল, রেস্তোরাঁ ও মাল্টিপ্লেক্সে আগের মতোই প্রবেশ করা এবং বাইরে যাবার সময় স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ ও থার্মাল স্ক্যানিং করতে হবে।
- স্টেডিয়াম বা সুইমিংপুল আগের মত নিয়ম মেনে চলবে।
- কোন গাইডলাইন লংঘন করা হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।