করোনা রুখতে নয়া গাইডলাইন রাজ্যে! বাজার খোলা ও বন্ধের সময়ে পরিবর্তন
আজ দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নির্দেশিকা সম্বন্ধে আলোকপাত করেছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গবাসীর ইচ্ছায় বাংলার মসনদে তৃতীয়বারের জন্য স্থান পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে আগামী ৫ বছরের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার শপথগ্রহণ করেছেন। সকাল ১০:৪৫ মিনিটে শপথ গ্রহণ করার পরেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম কাজ হবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সেইমতো তিনি সকাল ১২ টা নাগাদ নবান্নে গিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুপুরবেলা রাজ্য সরকার সংক্রমণ রোধের জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকের প্রথমে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, রাজ্যের অক্সিজেন অন্যরা নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাই অক্সিজেন শংকর সামলাতে সরকার শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেন চিকিৎসার জন্য বর্তমানে কাজে লাগাচ্ছে। এছাড়া আরো বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এছাড়া কিছুদিন আগেই নবান্ন পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে বন্ধ থাকবে যে কোন রেস্তোরা বা বার, জিম, স্পা, সুইমিং পুল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ইত্যাদি। সেই সাথে এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত রকম সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের নতুন কোভিড নিয়ন্ত্রণ বিধি দেখে নিন একনজরে:
- করোনা পরিস্থিতি সামলাতে যুদ্ধে শামিল করা হচ্ছে জেলার ২ লাখ ৭৫ হাজার কোয়াক চিকিৎসকদের।
- রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
- ৫০ জনের বেশি কোথাও জামায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার ৫০ জনের মধ্যে জমায়েত করতে হলেও আগে থাকতে অনুমতি নিতে হবে।
- বাজার খোলার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা ও বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা।
- আগামীকাল থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হবে।
- সরকারি বাস বা মেট্রোতে ৫০ শতাংশ যাত্রী চড়তে পারবে।
- বিমান পরিষেবা ব্যবহার করতে গেলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। জরুরী ভিত্তিতে কেউ এলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
- সোনার বা যেকোনো গয়নার দোকানীর আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যেহেতু ওদের দোকানে সকালে কোনো গ্রাহক আসে না তাই তাদের দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে অবধি খোলা রাখা যাবে।
- সরকারি অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ হাজিরা লাগবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।