কলকাতা : সম্প্রতি রাজধানী দিল্লীতে দূষণের মাত্রা মারাত্নক রূপ ধারণা করেছে। চলতি বছরে শুধুমাত্র রাজধানী দিল্লীতে নয় শহর কলকাতাতেও দূষণের থাবা বসেছে। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বায়ু পরিশোধনের জন্য কলকাতা কর্পোরেট এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে। চিনের অনুকরণে কলকাতায় তৈরী হতে চলেছে এয়ার পিউরিফায়ার।
২০১৮ সালে মারাত্নক দূষণ প্রতিরোধের জন্য উত্তর চিনের শানসি প্রদেশের জিয়ান শহরে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্বের উচ্চতম এয়ার পিউরিফায়ার নির্মাণ করা হয়েছিল। ৩২৮ ফুটের উচ্চতা বিশিষ্ট এই এয়ার পিউরিফায়ারটি প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘন লিটার শুদ্ধ বায়ু বাতাসে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। এবারে মহানগরে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চীনা মডেলে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। দেশের প্রথম সারির মহিলা উদ্যোগী বানী কোলা এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার, তার মধ্যে চীনা মডেলটি আশাব্যঞ্জক।”
পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয় যে বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক এই পিউরিফায়ারটি তৈরীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এছাড়াও এর আগে কলকাতার এক ম্যারাথনে চারটি বায়ু সংশোধক বসানো হয়েছিল যার ফলে কিছুটা হলেও বায়ু দূষণের পরিমাণ কমেছে বলে জানান পুরসভার আধিকারিকরা। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এয়ার পিউরিফায়ার বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে পুরসভার আধিকারিকরা।
তবে পরিবেশ বিজ্ঞানী তন্ময় রুদ্র এই প্রসঙ্গে বলেন যে পুরোনো গাড়ি বাতিল, এবং আবর্জনা পোড়ানো এবং শিল্প ক্ষেত্র থেকে দূষিত বায়ু নির্গমন বন্ধ করলে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তিনি বলেন বায়ু দূষণ প্রতিরোধের জন্য সার্বিক উন্নয়নের প্রয়োজন। আলাদাভাবে এয়ার পিউরিফায়ার বসালে কতটা সাফল্য পাওয়া যাবে তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।