কলকাতাবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের তাঁদের মেট্রো রেল পরিষেবা। এই শহরে মেট্রোরেলের যেই হারে প্রসার হচ্ছে, তাতে বলা যেতে পারে আর কিছু বছরের মধ্যেই কলকাতা মেট্রো হবে বিশ্বমানের। এই কলকাতা মেট্রোয় চলে বর্তমানে উন্নতমানের রেক। তবে এবার তা আরেক ধাপ আপগ্রেড হল। অপেক্ষা ছিল বহুদিনের। ট্রায়ালও চলছিল। অবশেষে, ট্র্যাকে এল বহু প্রতীক্ষিত ডালিয়ান রেক ( MR-501)। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হল এই আধুনিক উন্নতমানের রেকের বাণিজ্যিক পরিষেবা।
গতকাল শুক্রবার দমদম স্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ ছাড়ে নতুন এই ডালিয়ান রেক। করোনা অতিমারির আগেই এই অত্যাধুনিক রেক কলকাতা মেট্রোয় চালানোর কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, তার পরে সময় লেগে গিয়েছে অনেকটাই। চিন থেকে আমদানি করা এই রেক কলকাতা মেট্রোর যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য অনেকটাই বাড়াতে পারবে বলে মনে করছেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কি কি নতুন ফিচার রয়েছে এই ডালিয়ান রেকে? জানতে এই প্রতিবেদনটির শেষ অংশটি অবশ্যই পড়ুন।
বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় চলা এসি রেকগুলির তুলনায়, এই ধরনের রেকে ১০০ মিলিমিটার বেশি চওড়া দরজা রয়েছে। বসার জায়গাও বেশ প্রশস্ত। উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বাইরের শব্দ কমানোর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আলোকসজ্জা মেট্রো রেলের যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য অনেকটাই বাড়াতে পারবে বলে মনে করা হচ্চে। উজ্জ্বল LED ডিসপ্লে বোর্ড, হুইল চেয়ার পার্কিং সুবিধা এবং দরজার পাশে পর্যাপ্ত ধরার ব্যবস্থাও থাকবে এই নতুন রেকে। রেকের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে রেইন ওয়াটার চ্যানেল, পেইন্ট-মুক্ত স্টেইনলেস স্টিল কার বডি। তাছাড়াও, চলার ক্ষেত্রেও নতুন এই রেক অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব বলে দাবি মেট্রোরেলের।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এই ধরনের রেক প্রথম আসে শহরে। দফায় দফায় ট্রায়াল রান চলে ডালিয়ান রেকের। সেই ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা করেন নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। যাত্রীসুরক্ষার সবকটি বিষয়কে খতিয়ে দেখে ৪ বছর পর যাত্রী পরিষেবার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হল এই চিনা রেককে। এই নতুন রেক যে কলকাতা মেট্রোর মুকুটে নতুন পালক, সেই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।