অফবিটকলকাতারাজ্য

কল্লোলিনি কলকাতা আজ দূষণমুক্ত, সেই চিত্রই ধরা পড়ল ক্যামেরায়!

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জী – ট্রেনে, বাসে চেপে নিত্যদিন যাওয়া গন্তব্যের পথে। কল্লোলিনী কলকাতাতেও আছে অনেক দেখার জায়গা। কিন্তু দেখা হয়না সেইভাবে। সময় আমাদের হাতে বড্ড কম। দৌড়াতে হবে অফিস-আদালতে, কলেজে, ইউনিভারসিটিতে। কিন্তু আজ কারুর তাড়া নেই। সবাই ঘরে বসে বন্দি জীবন কাটাচ্ছি। কোলাহলপূর্ণ কলকাতা আজ জনমানব শূন্য। পথে দু একটা গাড়ি আর রয়েছে কিছু পথের পশু কোথাও কয়েকটা কুকুর বা কোথাও রয়েছে দু-একটা বেড়াল। এই নিয়ে কল্লোলিনি কলকাতা। সত্যি ভাবতেও কেমন অবাক লাগছে। প্রতিনিয়তও যে জায়গাটা মানুষের কলকাকলিতে ভরে থাকতো, যানবাহনের হর্নে চারিদিকে কান পাতা দায় হয়ে উঠত সেই জায়গাটি আজ আওয়াজ করার কেউ নেই। সন্ধ্যে হলে যে রাস্তাটিতে যানবাহনের আলোর ঝলকানিতে চোখ ঝলসে যেত সেই সমস্ত রাস্তায় একটা লোক নেই।

হাওড়া ব্রিজ তৈরি হয়েছে বহুদিন আগে, তৈরি হওয়ার পর থেকে এসে একদিনের জন্য রেহাই পায়নি যত দিন যাচ্ছে তত বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। সারাদিনে হাজার হাজার লোক এবং হাজার হাজার যানবাহন এর ওপর দিয়ে ক্রমাগত ছুটে চলেছে। কিন্তু আজ? আজ সে ঘুমিয়ে রয়েছে। বোধহয় একটু দম নিচ্ছে, এতদিনের ক্লান্তি একটু কাটাতে চাইছে। ভিক্টোরিয়ার পরীটা হয়তো ভাবছে কলকাতার একই দশা হল? ধর্মতলা, বড় বাজার,পার্কস্ট্রিট অফিস টাইমে যেখানে জ্যামে আটকে আপনার রুদ্ধশ্বাস হওয়ার জোগাড়, সেইখানে আজ শূন্য পূরী।

কলকাতার দূষণ কমেছে এক ধাক্কায় একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এটার বোধহয় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যা প্রয়োজন ছিলনা তা হচ্ছে এতদিনের নিস্তব্ধতা। এরকম পরিস্থিতি না হলে আমরা ঘর থেকে বের হতাম না এটা সত্যি। তাই এই পরিস্থিতিটা আমাদের এক দিকে ক্ষতি করলেও আরেক দিকে খানিকটা সুখবর দিয়েছে। বায়ুদূষণ কমেছে। কলকাতায় বেরোলেই আপনাকে যে নাকে চাপা দিতে হতো, আশা করা যাচ্ছে লকডাউন থেমে গেলে আবার যখন মানুষ তার কাজের জীবনে প্রবেশ করে কলকাতায় যাতায়াত করবে তখন প্রথম কয়েকটা মাস আপনি দেখতে পাবেন একটা পরিষ্কার কলকাতাকে। আমরা প্রত্যেকেই সেই আশাতেই থাকবো।

Related Articles

Back to top button