শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ছুটি পেলেই আমাদের ভীষণ প্রিয় গন্তব্য স্থল দার্জিলিং। গরমকালে যখন কলকাতায় প্রায় ওষ্ঠাগত প্রাণ, তখন দার্জিলিঙে একটু ঠান্ডার খোঁজে আমরা প্রত্যেকেই পাড়ি দিতে চাই। পাহাড়ে ঘেরা বেশ সুন্দর ছবির মতো শহর দার্জিলিং। তাছাড়া যারা পাহাড়ে চড়তে ভালোবাসেন বা ট্রেকিং করতে চান তাদের জন্য দার্জিলিং একটি উপযুক্ত পর্যটনকেন্দ্র। কাঞ্চনজঙ্ঘা পাশ থেকে সূর্যোদয় দেখা প্রত্যেক মানুষেরই যেন একটা স্বপ্ন থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই দার্জিলিংয়ের আশেপাশেই আপনি ভূতের দেখা পেতে পারেন? না, এটা বোধহয় আপনার জানা ছিল না। তাই ভবিষ্যতে কোনদিন দার্জিলিং যেতে পারলে এই ভূতের জায়গাটি একবার দেখে আসবেন।
দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি। এটি একটি ভুতুড়ে রেলস্টেশন এটি নাকি ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভুতুড়ে স্টেশন। নিজের কোলবালিশ টাকে কিন্তু শক্ত করে জড়িয়ে ধরুন, না হলে কিন্তু ভয় ভিরমি খেতে পারেন। দার্জিলিং এর কাছে কার্শিয়াং এর নাম সকলে আমরা শুনেছি। একটি পথ যা কার্শিয়াং এর ডাও হিল থেকে বনদপ্তর এর অফিস পর্যন্ত চলে গেছে। আর এই রাস্তাতেই যত বিপত্তি। এখানেই হাড়হিম করা দৃশ্য দেখা যায়। সেই দৃশ্যের মধ্যে মাঝে মাঝেই মস্তকহীন একটি বালক নাকি কুয়াশার মধ্যে আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সাদা শাড়ি পড়া এক নারী কেও দেখা যায় প্রায়শই ঘুরে বেড়াতে। অনেকে আবার লক্ষ্য করেছেন, এক জোড়া লাল চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তবে অনেকেই মনে করেন, অতীতে অনেক মৃত্যু ঘটেছে এই জায়গাতে। আর সেই মানুষের অতৃপ্ত আত্মা এই ভুতুড়ে ঘটনা গুলির কারণ হয়ে থাকতে পারে। এখানে প্রায় ১০০ বছরের প্রাচীন একটি বিদ্যালয় যার নাম ভিক্টোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত। শীতকালীন ছুটির সময় যখন এই স্কুলটি প্রায় ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকে, তখন অনেকেই এই স্কুল চত্বরে পায়ের শব্দ পেয়েছেন। কি ভাবছেন আর দার্জিলিং কোনদিন যাবেন না? না, এই ভুলটা কখনোই করবেন না। তবে যদি আপনার প্রচন্ড মনে সাহস থাকে তবে এই ঘটনাগুলিকে একবার চাক্ষুষ করতে পারেন। তবে সাবধান। ভূত নেই এটা ভেবে সাহস দেখানোর কিন্তু কোনো প্রয়োজন নেই। তাহলে ভূত বাবাজীরা ক্ষেপেও যেতে পারে।