এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ক্রমে সরছে চিনা সেনাবাহিনী। এই বিষয়ে মঙ্গলবার চিন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা হয়। বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুইং জানিয়েছেন, “ভারত ও চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরফলে সীমান্তে উত্তেজনা কমবে। আশা করছি শান্তি বজায় রাখতে বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেবে ভারত”।
একমাস আগে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় একটি চিনা তাবু সরানোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। আর এরফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জন জওয়ান শহীদ হন। এরপরই দেশ জুড়ে চিনের উপর ক্ষোভ উগড়ে পড়ে। আর এরপরই ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত। একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এই ঘটনার পর সীমান্তে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তিন বাহিনীর প্রধান। সীমান্তকে শত্রুর ঘেরাটোপ থেকে কড়া নজরে রাখতে মোতায়েন করা হয় ফাইটার জেট ও মিসাইল।
ভারতের সঙ্গে চিনের এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ইজরায়েল ও আমেরিকা সহ বিশ্বের আরও অনেক দেশ ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। চিন ও ভারতের চতুর্থ দফার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক মঙ্গলবার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাতে ভারতের পক্ষ থেকে চিনকে প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার এলাকা সহ গ্রোগরা ও হটস্প্রিং থেকে লালফৌজকে সরে যেতে বলা হয়। জুন মাসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রকের একটি ভিডিও কনফারেন্স হয়। আর এরপরই ক্রমে পিছু হটেছে চিন।