রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন কল্যাণমূলক কাজের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্প। বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্পের অধীনে উপকৃত হয়েছেন দেশের কয়েক লক্ষ নারী। ২৫-৬০ বছর বয়স্ক যে কোন নারী এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। এর জন্য প্রাপকের কোন আয়ের উর্ধ্বসীমা বিবৃত নেই। ফলে প্রত্যেকেই এই প্রকল্পের অধীনে মাসিক ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পেয়ে থাকেন। এ কথা বলা যেতেই পারে, রাজ্যের নারীদের আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলার পেছনে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অবদান রয়েছে চোখে পড়ার মতো।
তবে বছরের শেষে এসে এবার আরো বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর অধীনে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে হলে এতদিন রীতিমতো পরিশ্রম করতে হতো রাজ্যের নাগরিকদের। তবে এবার সেই প্রকল্পে সরলতা আনতে চলেছে নবান্ন। যে সমস্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন, যখন তাদের বয়স ৬০ উত্তীর্ণ হবে, তখন ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীন থেকে ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর অধীনে চলে যাবেন ওই মহিলা।
অর্থাৎ এবার থেকে দৌড়োদৌড়ির দিন শেষ হতে চলেছে ৬০ উত্তীর্ণ মহিলাদের। ঘরে বসে নিশ্চিন্তে বৃদ্ধ ভাতা পাবেন মহিলারা। যেখানে আগে বৃদ্ধ ভাতা পাওয়ার জন্য আয়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারিত ছিল, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্তের কারণে আয়ের ঊর্ধ্বসীমার নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে আয়ের উর্ধ্বসীমা দেখে নয়, বরং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকরা সরাসরি বৃদ্ধ ভাতার আওতায় চলে যাবেন। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মহিলা উপকৃত হবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী বছরের শুরু থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে রাজ্যে।