নয়া দিল্লি : করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সারা বিশ্বের সব দেশের মধ্যে প্রথম তিনে রয়েছে ভারত। করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য মার্চ মাসের শেষের দিকেই রাতারাতি দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন মোদি সরকার। কিন্তু টানা দুমাসের লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়লেও রাশ টানা যায়নি করোনা সংক্রমণে। সারা দেশে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৯ হাজার ৩৮০।
সেখানে ২ সেপ্টেম্বরেই করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে ১১ লক্ষ ৭২ হাজার ১৭৯ জনের। প্রতিদিন রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের আম জনতার। দেশের মানুষদের কথা ভেবেই জুন মাস থেকে সবরকম সতর্কতা বজায় রেখেই এক এক করে খুলেছে দোকান, বাজার এবং শপিং মল।
আর চলতি মাসের কিছুদিনের মধ্যেই দেশে শুরু হতে চলেছে মেট্রো রেল পরিষেবা। চূড়ান্ত বৈঠকের পরে জানানো হবে কবে থেকে রাজ্যে চলবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু এসবের মধ্যে দুঃসংবাদ হল দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য সবথেকে বেশী করোনা আক্রান্ত। দেশের ৫টি রাজ্যে ৬২ শতাংশ সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে করোনা মুক্ত দেশের ২৯.৭০ লক্ষ মানুষ যা সক্রিয় করোনা রোগীর থেকে ৩.৫ গুণ বেশি৷ এর মধ্যে ৬২ শতাংশ করোনা রোগী আছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে ৷ অন্যদিকে ৭০ শতাংশ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, কর্নাটক, তামিল নাড়ু ও মহারাষ্ট্রে৷ এসবের মধ্যে মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর হার কমেছে ১১.৫ শতাংশ। ১৮.২ শতাংশ কমেছে তামিল নাড়ুতে৷ তবে সেই তুলনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে দিল্লি ও কর্নাটকে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার টেস্ট হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষের।