Laxmir Bhandar Club: পাড়ায় পাড়ায় খুলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার ক্লাব, মহিলাদের জন্য এলো এই নতুন উদ্যোগ

পশ্চিমবঙ্গের সনকাডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৬০-৭০টি পরিবারের মহিলারা একত্রিত হয়ে গঠন করেছেন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ—“লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব”। এই ক্লাব শুধু অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে নয়, সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন…

Avatar

পশ্চিমবঙ্গের সনকাডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৬০-৭০টি পরিবারের মহিলারা একত্রিত হয়ে গঠন করেছেন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ—“লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব”। এই ক্লাব শুধু অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে নয়, সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সংকল্প নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুপ্রেরণায় গড়ে ওঠা এই ক্লাব গ্রামের মহিলাদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।

লক্ষীর ভান্ডার ক্লাবের কার্যক্রম শুধুমাত্র আর্থিক উন্নয়নে সীমাবদ্ধ নয়। ক্লাবটি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করার জন্যও সচেষ্ট। ক্লাবের লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রামের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ। বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি। এবং গ্রামের মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা।

মহিলাদের এই উদ্যোগকে সফল করতে গ্রামের পুরুষরাও সক্রিয়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন, উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে সামাজিক সমস্যা সমাধান—সব ক্ষেত্রেই তারা পুরুষদের সহযোগিতা পেতে আশাবাদী। ক্লাবের প্রতিশ্রুতি, এটি হবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করে গ্রাম সমাজের উন্নতি সাধন করবে।

রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প ইতিমধ্যেই বহু মহিলার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এই প্রকল্পের প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তাকে মহিলারা একটি বৃহত্তর সামাজিক কাজে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্লাব গঠনের মাধ্যমে, তারা এই অর্থকে শুধু ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং গ্রামের সামগ্রিক কল্যাণে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

লক্ষীর ভান্ডার ক্লাবের সদস্যরা তাদের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত করতে চান। ভবিষ্যতের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, নারীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং গ্রামের যুবসমাজকে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণে যুক্ত করা এই পদক্ষেপের অন্যতম লক্ষ্য।