শ্রেয়া চ্যাটার্জি : প্লাস্টিক যখন আমাদের কাছে এসেছিল তখন একটি ঐশ্বরিক দান হিসেবে আমরা গ্রহণ করেছিলাম আর এতটা পরিমাণে গ্রহণ করেছিলাম যে আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে প্লাস্টিক সমস্যাটা এখানেই হয়েছে এমন ভাবেই আমরা প্লাস্টিককে জীবনে গ্রহণ করেছি যে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা প্লাস্টিক এর সঙ্গে একেবারে নিবিড় হয়ে গেছে। যদি একটা ছোট হিসাব দেওয়া যায়, তাহলে বোঝা যাবে যে প্লাস্টিক আমাদের জীবনে কতটা জায়গা গ্রহণ করেছে প্লাস্টিক। ঘুম থেকে ওঠার পরে টুথ ব্রাশ, টুথপেস্ট যেখানে রাখা হয় প্লাস্টিকের।
সমস্ত প্যাকেট জাতীয় খাবারের প্যাকেট গুলো প্লাস্টিকের তৈরি, আগেকার দিনে বাড়িতে গেলে মাটির কুঁজো দেখা যেত, গ্লাসে জল দেওয়া হতো অতিথি কে। এখন সুবিধার্থে তৃষ্ণার্ত মানুষটার হাতে তুলে দেওয়া হয় এক বোতল জল। বিজ্ঞান বলছে, প্লাস্টিকের বোতলে জল খেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো আমাদের ঝাঁ-চকচকে ফ্ল্যাট বা বাড়িতে কি করে কুঁজো রাখা যায়, একটা উপায় হতে পারে এর জায়গা নিতে পারে কাঁচের বোতল। কাঁচের বোতলে ক্ষতি কম হলেও, এটি পড়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়ার সমস্যা এবং কাঁচ ভেঙে গিয়ে তা থেকে অন্য বিপত্তি ও হতে পারে। তাই কাঁচের বোতল ও বাদ দেওয়া হল। তাহলে কি হতে পারে! অভাবনীয় এক ভাবনা ভেবেছেন আসামের এক ভদ্রলোক। তিনি বানিয়ে ফেলেছেন বাঁশের তৈরি বোতল।
আরও পড়ুন : শীতের মরশুমে ভারতের এই চারটি জায়গা ঘুরে আসুন
বাঁশ পরিবেশ বান্ধব, প্লাস্টিকের থেকে অনেক বেশি অনেক তাড়াতাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে। ছোট ছোট গাছ রোপন করার জন্য আগে ব্যবহার করা হতো, প্লাস্টিকের ছোট ছোট পাত্র। এখন তার বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের পাত্র। আসামের এমন অভাবনীয় একটি ঘটনাকে সত্যি করেছেন ধৃতিমান, তবে একা নয় তাকে সাহায্য করেছেন মৌসম বোরা, তারা দুজনে মিলে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন বাঁশের বোতল এবং যারা এই বাঁশের বোতল তাদের থেকে কিনতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যার্টফর্মও করেছেন। এই বোতলটি থেকে কোনভাবেই জল পড়ার সম্ভাবনা নেই, আর এটি অনেক বেশি হাইজেনিক। প্লাস্টিকের বোতল গরমকালে বেশ গরম হয়ে যায় এবং শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেখানে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন, আর এখানে জল ঠান্ডাও থাকবে প্রাকৃতিক উপায়েই।