৫ বছর পর প্রতিবছরে ৫০ হাজার টাকা পেনশন, জানুন এলআইসির এই বিশেষ পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত – LIC PLAN
এলআইসি সম্প্রতি ভারতের সাধারণ মানুষদের জন্য নিয়ে এসেছে একটি দারুণ পরিকল্পনা
৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরে সবাই নিজের বার্ধক্য জীবনের জন্য উদ্বিগ্ন হতে শুরু করে। বিশেষ করে যাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে তাদের জন্য অবসর গ্রহণের পরের সময়টা কিন্তু বেশ কঠিন হয়। তাদেরকে রীতিমত অন্যের উপরে ভরসা করে থাকতে হয়। তাই সময় থাকতে থাকতেই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করে নেওয়া ভালো। প্রতিটি কর্মজীবী মানুষের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের অবসর পরিকল্পনা করে নেওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় জীবন বীমা কর্পোরেশন নতুন জীবন শান্তি অবসর পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। এলআইসির এই প্রকল্পের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো আপনার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পেনশন দিতে চলেছে। এতে আপনাকে শুধুমাত্র একবার টাকা জমা করতে হবে এবং অবশ্যই নেওয়ার পরে আপনি সারা জীবন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেতে থাকবেন। এলআইসির এই জীবন শান্তি যোজনার প্ল্যান নম্বর হলো ৮৫৮। চলুন এর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্ল্যান নেবার সময় আপনি কখন প্ল্যান বেছে নিচ্ছেন সেটা নিয়ে আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে চিন্তাভাবনা করে রাখতে হবে। যদি আপনি কোন কারণে চাকরি থেকে অকাল অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করেন, এই সময় যদি আপনার আয়ের উৎস শেষ হয়ে যায় সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এলআইসি নিয়ে এসেছে এই বিশেষ পরিকল্পনা। এটি মূলত একটি বিলম্বিত বার্ষিক পরিকল্পনা যা নেওয়ার সময় আপনি পেনশনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন আগে থেকেই। অন্তত এক বছরের নিয়মিত বিরতির পর আপনি প্রতি মাসে পেনশন পাবেন এই পরিকল্পনায়।
এই প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য হল আপনাকে মাত্র একবার অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। এটি যেহেতু একটি বিলম্বিত বার্ষিক পরিকল্পনা তাই ১ থেকে ১২ বছরের সময়কালের পরে পেনশন পেতে পারেন আপনি। বার্ষিক অর্ধ বার্ষিক ত্রৈমাসিক এবং মাসিক পেনশনের বিকল্প আপনাদের কাছে রয়েছে। আপনি যদি এই পরিকল্পনায় ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে ১১ হাজার টাকা করে পেনশন পেয়ে যাবেন। তবে সবথেকে বড় সুবিধা হল এই পরিকল্পনায় আপনি কিন্তু ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন। সরকারি কোনো পরিকল্পনায় এতটা সুদ দেওয়া হয় না। প্রবেশের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বয়স হলো যথাক্রমে ৩০ এবং ৭৯। এই বয়সের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি এই পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করতে পারেন। এই পরিকল্পনায় বিনিয়োগের কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। তবে যদি কোনো কারণে পলিসিধারী এই সময়ের মধ্যে মারা যান তবে তার একাউন্টে জমা করা অর্থের সাথে কিছু টাকা যোগ করে মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে এলআইসির তরফ থেকে। অর্থাৎ একদিক থেকে দেখতে গেলে এই প্ল্যানে আপনি ডেথ বেনিফিট পাচ্ছেন।