পশ্চিমবঙ্গে আরও ১৫ দিনের জন্য করোনা বিধি-নিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তবে এই ঘোষণায় এখনও পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে কোনো উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্য সরকারের মতামত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো পর্যন্ত কলকাতা এবং শহরতলীর সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। চাকরির কোচিং সেন্টার খোলার জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাত্রি এগারোটা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকবে এবং সেই সময় জরুরী পরিষেবা ছাড়া অন্য কোন পেশার মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করতে পারবেন না।পাশাপাশি রাস্তায় যদি চলতে হয় তাহলে মাস্ক পরতে হবে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে হবে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত ঠিকঠাক রয়েছে। রাজ্য সরকার কোনরকম রিস্ক নিতে চাইছে না এবং এই কারণেই লোকাল ট্রেন বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে।
অনেকে অনুমান করেছিলেন পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে হয়তো লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনই লোকাল ট্রেন চালানোর কোনো অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য কলকাতায় এবং লাগোয়া জেলাগুলির বাসিন্দারা অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। সকলের দাবি জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোকাল ট্রেন পরিষেবা আবারও চালু করতে হবে। কিন্তু, এখনো পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা করনের হার সেরকম ভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এই কারণেই পনেরোই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেন।
যদিও এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেন পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তাই কবে অর্ধেক মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে, বর্তমানে চিন্তায় অনেকেই। যদিও বিরোধীদের দাবি, ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানোর জন্য জেলা গুলিকে বঞ্চিত করে কলকাতায় অনেক বেশি টিকা করন করা হচ্ছে। এই কারণে কলকাতার সঙ্গে জেলার একটা বড় ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। যদি লোকাল ট্রেন চলে তাহলে জেলার মানুষ কলকাতায় আসবেন। ফলে কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। তখন ভবানীপুরে উপনির্বাচন কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই কারণেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করেননি বলে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি।