বাংলায় লোকাল ট্রেনের দৌলতে সকাল সকাল কলকাতার বুকে কাজ করতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও খুবই কম সময়ে এবং অত্যন্ত কম খরচে দূরের কোনো জায়গায় যাতায়াত করতে হলে লোকাল ট্রেনের চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু লোকাল ট্রেনের যাত্রা অত্যন্ত একঘেঁয়ে। এবার সেই সমস্যা দূর করতে নতুন পরিকল্পনা আনলো রেল। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে এবার থেকে টিভি দেখতে দেখতে যাত্রা করতে পারবেন ট্রেনের যাত্রীরা। সিটে বসে বা দাঁড়িয়ে, এক ঘন্টা হোক কি ৫ মিনিট সকলেই যাত্রাপথে টিভি দেখার সুযোগ পাবেন।
জানা গিয়েছে, আগামীকাল সোমবার থেকে হাওড়া ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে চালু হচ্ছে ট্রেন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। প্রতিটি কোচের একেবারে শেষ দুই প্রান্তে দুটি করে মোট চারটি টিভি বসবে। প্রতিটি টিভি ২৭ ইঞ্চির এলইডি টিভি হবে। টিভি স্ক্রিনের মোট মাপের ৭০ শতাংশে যাত্রীরা দেখতে পারবেন নানা ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বা খেলা বা সিনেমার কোন দৃশ্য বা নাচ-গান, ভ্রমণ ইত্যাদি। মাঝে মাঝে সেখানে চালানো হবে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনও। টিভির বাকি ৩০% অংশে রেলের নানা ধরনের সতর্কীকরণ বার্তা এবং বিভিন্ন পরিষেবার তথ্য পরিবেশন করা হবে।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া ডিআরএম মনিশ জৈন বলেছেন যে ভারতীয় রেলে এই প্রকল্প মুম্বাইয়ের পর দ্বিতীয় স্তরে এই প্রথম হাওড়া ডিভিশনে চালু হচ্ছে। সোমবার হাওড়া থেকে ১১:৫০ মিনিটের ব্যান্ডেল লোকালে এই পরিষেবা প্রথম চালু হবে। তারপর ক্রমান্বয়ে আরো ৫০ টি ট্রেনে এই ট্রেন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম দেবে ট্রেন। প্রতিটি কোচে চারটি করে পুরো একটি ট্রেনে ৪৮ টি এলইডি টিভি লাগানো হবে।
আপাতত জানা গিয়েছে, এই ৫০ টি লোকাল ট্রেনে পরিষেবা চালু করার দায়িত্ব পেয়েছে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সংস্থা। এইজন্য তারা বাৎসরিক ৫০ লক্ষ টাকা দেবে রেলকে। বাকি তিন বছর পর ১০% হারে বাড়তি ভাড়া দেবে। এই নতুন পরিষেবার কথা শুনে বেশ উৎসাহিত নিত্যযাত্রীরাও। তবে এই প্রকল্পের জন্য যথেষ্ট চিন্তিত আরপিএফ। টিভি চুরির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে টিভি গুলি গার্ড বা চালকের কেবিন থেকে পরিচালনা করা হবে না। পুরোটাই চলবে অনলাইন সার্ভারের মাধ্যমে।