মারণ ভাইরাস করোনার জেরে একটার পর একটা বেদনাদায়ক খবর সামনে আসছে। কখনও আত্মহত্যার খবর, কখনও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। কখনও আবার চাকরি খুঁইয়ে সব হারানোর কাহিনী। সেরকম একটি ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার পাশকুঁড়াতে। পাঁশকুড়ার খন্ডখোলা এলাকার বাহারপোতা গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক আমেরিকাতে একটি নামী জাহাজ সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু করোনার কারণে সেই চাকরি গেছে। তাই এখন তিনি বাজারে সবজি বিক্রি করছেন।
আমেরিকাতে যে সংস্থায় কার্তিক চাকরি করতেন, সেখানে ১০ মাসের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়াতে গত ২৫ জানুয়ারি সে বাড়িতে আসে। মে মাস থেকে নতুন অফিসে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য চাকরি তা আর নেই। তাই সংসারের হাল ধরতে তিনি এখন সবজি বিক্রি করছেন। কার্তিক ২০১৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে হোটেল ম্যানেজমেন্ট ভর্তি হন। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ও বিবাহিতা দিদির সাহায্যে সে পড়াশুনা শেষ করে গতবছর এপ্রিল মাসে চাকরিতে যোগ দেন।
মাসিক ৪০ হাজার টাকা মাইনা তিনি পেতেন। যা দিয়ে তাদের সংসার ভালোই চলত। কষ্টের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ছোট ভাইয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছিল কার্তিক। কিন্তু করোনা সব শেষ করে দিল। আমেরিকাতে বর্তমানে অবস্থা খুব খারাপ। তাই এখন আমেরিকাতে আসা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থা। পরে চাকরিতে যাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তাতে আছে গোটা পরিবার। আপাতত কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই দিকেই তাকিয়ে আছে কার্তিক ও তার পরিবার।