করোনার দাপট বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। গোটা বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে নোভেল করোনা ভাইরাস। যার ফলে প্রতিদিন সারা বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে যেভাবে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে তাতে লক ডাউন ঘোষণা ছাড়া কোনো উপায় দেখেনি দেশগুলি।
একইরকম ভাবে ভারতেও বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট নোভেল করোনাে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬০০ এর অধিক এবং মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৩৮। এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সপ্তাহে সারা ভারত জুড়ে আগামী ২১ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেন। যার স্থায়ীত্বকাল থাকবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
লক ডাউনের ফলে বন্ধ যান চলাচল পরিষেবা, বন্ধ সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস, কলকারখানা, নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে জমায়েতের উপর।স্বাভাবিকভাবেই লক ডাউনের ফলে অর্থনীতিতে মন্দা অনিবার্য। যার ফলে অর্থনীতিবিদেরা এক গবেষণার মাধ্যমে অনুমান করছেন, দেশে চাকরি যেতে পারে প্রায় ১৩ কোটি মানুষের, যার বেশিরভাগই অসংগঠিত ক্ষেত্রে।
এক গবেষণার অঙ্কে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি বাদ দিলে দেশে ঠিক কতজন শ্রমজীবি মানুষ আছেন তার নিশ্চিত হিসেব নেই। যার ফলে ওই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষগুলির পেটের টান আগে পড়বে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষির বাইরে কাজ করেন, আর তাদেরই চাকরির নিশ্চয়তা সবচেয়ে কম। কোনও নোটিশ ছাড়াই তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। যাদের বেশিরভাগই নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত।