বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস বিশ্বের সব দেশকে একসঙ্গে জোটবেঁধে এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বলেছেন। সব দেশকে একে অপরের সাহায্য করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে অন্যান্য দেশের সাহায্য করতে হবে। মানবিক হতে হবে গোটা বিশ্বকে। আরও সচেতনতার প্রয়োজন। এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়ের সম্মখুন হবে পৃথিবী। তিনি বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে, তার কথা ও বলেছেন।
ট্রেডস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস যে সমস্ত পদক্ষেপের কথা বলেছেন, সেগুলি হল-
১) মহামারী বন্ধ করতে হলে সব রাষ্ট্রের প্রধান, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের এগিয়ে আসতে হবে এখনই।
২) অলিম্পিক পিছিয়ে দেবার জন্য তিনি জাপান সরকার ও আইওসি-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর সাথে তিনি বলেছেন যে ২০২১ সালে আরও বড়ো করে অলিম্পকের সেলিব্রেশন করা যাবে।
৩) করোনা মোকাবিলা করতে বেশ কিছু দেশ দ্রুত ও ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু অনেক দেশ তা করেনি। ফলে আর্থিক ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন বিশ্বের সব দেশকেই দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪) তিনি আশা করেছেন এই মহামারীর থেকে পুরো পৃথিবী রক্ষা পাবে। এর আগেও অনেক বিপদ থেকে পৃথিবী রক্ষা পেয়েছে।
৫) বিশ্বের সব দেশকেই লকডাউনের পথ বেঁচে নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব গড়তে পারলেই করোনার মোকাবিলা করা সম্ভব। তিনি সবাইকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে যে যে পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত, সেগুলি হল-
১) চিকিৎসার কোনোরকম ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে।
২) বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকারকে সংক্রামিত হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩) সংক্রমিত ব্যক্তিকে আলাদা করে রেখে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে, প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে।
৪) করোনা পরীক্ষার সমস্ত টেস্ট-কিট পর্যাপ্ত পরিমানে থাকতে হবে।
৫) পরিষ্কার পরিচ্ছনতা বিশেষ প্রয়োজন। সমস্ত আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডগুলি ভালো করে পরিষ্কার রাখতে হবে।
৬) স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে চলা সবার উচিত। নির্দেশিকা মেনে চলাই নাগরিকদের প্রাথমিক কর্তব্য হওয়া উচিত।