করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত দেশ জুড়ে লকডাউন জারি থাকার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ, একমাত্র লকডাউনই পারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চক্রকে ভেঙে ফেলতে।
তবে একটানা লকডাউনের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভেঙে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি। দেশের একটি বিশাল সংখ্যক মানুষকে চরম দুর্দশার মধ্যে ফেলে একটানা লকডাউন কতদিন চালিয়ে যাওয়া যাবে, তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে। ফলে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার কথা মাথায় সরকার।
দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, তা কয়েকটি এলাকার বাইরে এখনও ছড়িয়ে পড়েনি। তাই করোনার সংক্রমণ চক্রকে ভেঙে দিয়ে সংক্রমিত নয় এমন এলাকাগুলোতে লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে সরকার। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক সম্ভাবনা যুক্ত এলাকা গুলোকে হটস্পট ঘোষণা করেছে সরকার। করোনা হটস্পট এলাকায় লকডাউন জারি থাকবে।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কয়েকদিন লকডাউন কার্যকর করতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে কড়া হবে প্রশাসন। তবে করোনা হটস্পট নয় এমন এলাকাগুলোতে ২০ এপ্রিলের পর লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে লকডাউনের বিষয়ে নতুন কিছু নিয়ম আনতে চলেছে সরকার। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবেই লকডাউনের নিয়মে পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র।