প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় দফার লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করেছিলেন। তবে ২০ এপ্রিলের পর বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে চার দেওয়া হবেও বলে তিনি জানিয়েছিলেন। লকডাউনেরফলে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা। গরিব দিনমজুর যারা দিন আনে দিন খায় অসুবিধা সবচেয়ে বেশি। তাই আজ থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইনে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তবে রয়েছে বিশেষ শর্ত ও।
১) প্রাইভেট গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। তবে মানতে হবে শর্ত। চালক ছাড়া আর একজন গাড়িতে থাকবেন, তাকে পিছনের সিটে বসতে হবে। আর দু চাকার স্কুটার বা বাইকের ক্ষেত্রে একজনই থাকবে।
২) খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। অফিসের ভিতরে দূরত্বতা বজায় রাখতে হবে।
৩) আজ থেকে নির্মাণ ক্ষেত্রে কাজ শুরু হবে। তবে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো চলবে না।
৪) অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব এগুলি চালু হবে না। কিন্তু ট্রেন ও বিমানে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ছাড় আছে।
৫) আইটি সেক্টরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। অফিসে মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬) গ্রামীণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৭) দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন, নারকেল, চা, কফি এগুলির ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে। তবে নিয়মগুলি মানতে হবে.
৮) ই-কমার্স সাইটগুলিকে কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ডেলিভারিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৯) ব্যাঙ্ক, এটিএম, পেট্রোল ও সিএনজি পাম্প, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি, ডাকঘর ও চিকিৎসা সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে। তবে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
১০) যে সব কর্মীর বয়স ৬০ এর ওপরে বা তাঁদের বাড়িতে বাচ্চারা আছে। সেই সব কর্মীরা ওয়ার্ক ফর্ম হোম করতে পারবেন।