শ্রেয়া চ্যাটার্জি – কবি বলতেন, ‘অদন্তের হাসি আমি বড়ই ভালোবাসি।’ শিশুদের হাসি কে না পছন্দ করেন! মানুষ মাত্রই গান, ফুল এবং শিশু ভালোবাসেন। গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত। কষ্টে আমরা প্রত্যেকে আছি। যার অর্থ আছে সে মানসিক কষ্টে ভুগছে, যার অর্থ নেই সে ভুগছে পেটের জ্বালায়।
কষ্টে রয়েছে শিশুরাও, যে সমস্ত শিশুরা রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করে ঘুরে দুটো পয়সা রোজগার করত, তাদের রোজগার আজ বন্ধ। যারা ভিক্ষা দেবে তারাই তো ঘরের মধ্যে বন্দি। কবি বহুদিন আগে বলেছিলেন, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। কবির একথা আমরা কেউ রাখতে পারিনি, আমরা কেউই পৃথিবীকে তার বসবাসের উপযুক্ত করে তুলতে পারিনি। করোনা ভাইরাসের আক্রমণের আগেও পৃথিবী কি সুস্থ ছিল? উত্তরটা এককথায় না।
ধীরে ধীরে পৃথিবী ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলছিল। আমরা চেয়েছিলাম উন্নতির শিখরে উঠতে। একবারও বুঝিনি এই উন্নতির দিকে এগোতে গিয়ে আমরা পৃথিবীর কত বড় সর্বনাশ করছি। প্রকৃতি-পরিবেশ ক্রমাগত আমরা কলুষিত করছি। আমরা শিশুর বাসযোগ্য উপযুক্ত করে যেতে পারবোনা পৃথিবী কে। এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। ভাইরাসের থেকেও খিদের জ্বালা যে কি জ্বালা তা বুঝছে সকলে। যার মধ্যে সামিল ছোট্ট শিশুরাও। করোনা আমাদের থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে । অনেক প্রিয় জনের প্রাণ নিয়েছে, কিন্তু দিয়েছেও অনেক কিছু। ধনী থেকে গরিব প্রত্যেকের মনে এখন একটাই চিন্তা মৃত্যুভয়।
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গরীব মানুষদের মধ্যে খাবার বিলি করা হচ্ছে। তাতেই তো ওই ছোট ছোট শিশুদের মুখে হাসি ফুটেছে। যারা এদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, এরা এদের কাছে ভগবানের মতো। মানুষরূপী ভগবানের দ্বারা এরা মেটাচ্ছে এদের পেটের জ্বালা। এরা সুস্থ থাকুক বেঁচে থাকুক। এরাই তো দেশের সুপ্ত ভবিষ্যৎ।