শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, তাই আমরা প্রত্যেকে কার্যত গৃহবন্দী। কলকারখানা বন্ধ, অসুবিধায় নিম্নবিত্তরা। তাই সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগ ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিম্নবিত্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, নুন, তেল, আলু, পেঁয়াজ। তার সাথে সাথে আরেকটা জিনিসের কথা মাথায় রাখতে হবে বাইরে যতই লকডাউন চলুক, শারীরিক প্রক্রিয়া, বিক্রিয়া কিন্তু তার নিজের মতনই চলছে। সেখানে কাজ কম্ম কোনোভাবেই বন্ধ নেই। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে কাজ প্রায় বন্ধ, সেখানে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের জোগাড় করতেই হিমশিম হতে হচ্ছে, সেইখানে নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারা কি করে নিজেদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনবেন!
এবিষয় মানুশি চিল্লার সরকারের কাছে আবেদন জানালেন, তিনি বললেন, যে রেশন এর সাথে সাথে যদি বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাডও দেওয়া হয়, এই ধরনের নিম্নবিত্ত মহিলাদের কাছে, তাহলে তারা উপকৃত হবেন। বিশেষত যে পরিবারে দিন আনে দিন খায়, সেখানে একটু টাকা বাঁচিয়ে কখনোই মেয়েরা তাদের শুধুমাত্র স্যানিটারি প্যাড কেনার জন্য খরচ করবেন না, এটাই স্বাভাবিক যতোটুকু তার টাকা থাকবে তারা তাদের সংসারের কল্যাণে খাবার জিনিসই আনবেন। কিন্তু এতে তাদের শারীরিক অবস্থার হবে। তিনি আরো বলেন, অনেক সংস্থা আছে যারা প্যাড তৈরি করে বিনামূল্যে সকলের মধ্যে বিলি করছেন, কিন্তু তার মতে, এই সংস্থাগুলির পাশে যদি সরকার দাঁড়ায় এবং তারাও যদি একসঙ্গে এই কাজগুলো বিনামূল্যে এই সকল প্রয়োজনীয় মানুষদের মধ্যে বিলি করেন তাহলে আরো ভালো হয়।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রত্যেককে এইভাবে পাশাপাশি থেকে কাজ করতে হবে। তবে নিম্নবিত্ত মানুষদের কে সাহায্য করায় সরকারি-বেসরকারি এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রত্যেকটা দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাছাড়া ও রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে অভিনেতা, অভিনেত্রী খেলোয়াড়, শিল্পপতি এবং সাধারন মানুষ প্রত্যেকেই কিছু না কিছু দিয়ে চেষ্টা করে চলেছেন এই অবস্থাকে কাটিয়ে ওঠার।