জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। ঠাকুরপুকুর শখেরবাজার বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার এই চারটি স্টেশনে এই মুহূর্তে মেট্রো চলছে। তবে এবার মাঝেরহাট নিয়ে এলো আশার খবর। এর আগে ঠিক হয়েছিল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মাঝেরহাট স্টেশন এর কাজ সম্পন্ন হবে। তবে যেভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, পুজোর আগেই এই কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে।
সূত্রের খবর, জোকার এক্সপ্লানেড করিডোরের মাঝেরহাট স্টেশনে ইতিমধ্যেই ফিনিশিং টাচ এর কাজ শুরু করে দিয়েছে রেলওয়ে। মাঝেরহাট এবং তারাতলার মধ্যে যে ভায়াডাক্টের কাজ চলছিল সেটা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্লাটফর্মের কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ। স্টেশন বিল্ডিং করার কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যেই মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন চালু করার ডেডলাইন রেখেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে পুজোর আগেই কলকাতা মেট্রোর আরও একটি স্টেশন তৈরি হয়ে যাবে। মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশনটি সমস্ত রকম আধুনিক উপকরণ সম্বলিত হবে।
সূত্রের খবর মাঝেরহাট স্টেশনের কাছেই তৈরি হচ্ছে এই মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন। এর ফলে রেল যাত্রীরা খুব সহজেই ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরতে পারবেন। এতে তাদের অনেকটাই বেশি সুবিধা হবে। এদিকে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো লাইনের দূরত্ব মোটামুটি ৬ কিলোমিটার। মাঝেরহাট পর্যন্ত এই শাখা সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরো ২ কিলোমিটার গতিপথ বাড়বে এই মেট্রোর। নবনির্মিত মাঝেরহাট সেতুর কাছে একটি অনুমোদনহীন জিম মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন এর কাছে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যত তাড়াতাড়ি সেই জিম সরিয়ে নেওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। জুনের প্রথমেই জানা গিয়েছিল পুজোর আগে এই মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন চালু হয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, খুব শীঘ্রই মাঝেরহাট স্টেশনের দরজা খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য।