এবার অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয়। করণা পরিস্থিতিতে সমস্ত পড়াশোনা ইন্টারনেটেই চলছে। আর সেই অবস্থায় রাজ্য সরকার রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করেছে। কিন্তু এবার একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করার মাধ্যমে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা ওই ট্যাবে অনুপযুক্ত কোন কিছু না দেখে। রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে নির্দেশিকা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোষ্ঠী।
স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য পড়াশোনা করণা পরিস্থিতিতে সত্যিই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস করা এবং পড়াশোনা অত্যন্ত কষ্টকর। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পঠন-পাঠন সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে অনেক ছাত্র ছাত্রীর কাছে মোবাইল ফোন অথবা ট্যাবলেট নেই। এই কারণে রাজ্য সরকার তাদের পড়াশোনায় ক্ষতিপূরণ করার জন্য রাজ্য সরকার প্রত্যেকে একটি করে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করেছে।
গত ৩রা ডিসেম্বর এমনই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওই ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোষ্ঠীর তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এরকম একটি নির্দেশিকা পাঠানো হলো।
মন্ত্রিগোষ্ঠী জানিয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মিশরে সরকারি এবং পৌর বিদ্যালয়গুলিতে ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য বেশকিছু ক্যাপসুল প্রোগ্রাম তৈরি করা যেতে পারে। এর ফলে সরকারি বিদ্যালয় এবং গ্রামীণ অঞ্চলে শিক্ষাতে বেশ কিছুটা উন্নতি হতে পারে। ট্যাবলেট ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে দেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষাগত পরিকাঠামো আরও উন্নত হবে। কিন্তু উপযুক্ত বিধি দ্বারা যেন শিক্ষার কাঠামো তৈরি করা হয়। তবে দেখতে হবে রাজ্য সরকারের দেওয়া ট্যাবে যাতে ছাত্রছাত্রীরা অনুপযুক্ত কোন কিছু না দেখতে পায়। এর দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে।