গতকাল কলকাতা সফরে এসে ইডেন গার্ডেনে দুপুরের ১২ টা ৫৫ নাগাদ ঘন্টা বাজিয়ে ভারতের প্রথম দিন রাতের টেস্ট ম্যাচ এই ঐতিহাসিক দিনটির সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরে সন্ধ্যা নাগাদ এই দুই নেত্রী একান্ত ভাবে বৈঠকে বসেন। এবং ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় ভারতে শরণার্থীদের স্থান দেওয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।
প্রাথমিকভাবে দুই নেত্রীর মধ্যে বৈঠকের তেমন কোনো সূচি না থাকলেও পরবর্তীকালে নবান্ন থেকে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং শেখ হাসিনাও রাজি হয়ে যান। প্রথমে মিনিট কুড়ির মত শেখ হাসিনার সাথে আলাপ আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ আলিপুরের পাঁচতারা হোটেলে পৌঁছান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বৈঠক ৫০ মিনিট পর্যন্ত হয়।
বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা এবং মমতা দুজনেই আশা প্রকাশ করে বলেছেন যে দুই দেশের মধ্যে মধ্যে সবসময় এমনই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সৌহার্দ্য ভাব বজায় থাকবে। তবে সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিস্তা জলবন্টন এবং এনআরসি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। সূত্রের খবর এদিন এই বিষয়ে হাসিনার সাথে কোনো আলোচনা করেনি মমতা।
বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। তখন এক কোটি বাংলাদেশিকে ভারতবাসী আশ্রয় দিয়েছিলো তাই আমাদের দেশ ভারতের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা রয়েছে।” এছাড়া এদিন সাইকেল শিল্প নিয়ে কথা তুললে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশের সাইকেল নির্মাতারা রাজ্যে লগ্নি করতে চাইলে তাদের জমি দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের সূচনা অনুষ্ঠানে মমতাকে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।আগামী বছর এই কর্মসূচি শুরু হবে।