ফালাকাটায় আদিবাসীদের গণবিবাহে স্থানীয়দের সাথে নাচে পা মেলালেন মমতা, লক্ষ্য উত্তরবঙ্গের আদিবাসী ভোট

নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন…

Avatar

নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জনসভা করছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে ৪ দিনের সফরে গিয়েছেন। তবে তার কর্মসূচি এটা স্পষ্ট করছে যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী ভোটের দিকে মমতার পাখির চোখ। তিনি সেই কারণে আজ উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ২ রা ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ফালাকাটায় আদিবাসীদের গণবিবাহ সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফালাকাটায় গিয়ে গণবিবাহের আসরে রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের বিবাহযোগ্য মেয়েদের বিয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। এছাড়াও তিনি এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৪৫০ যুগলের বিয়ে দিলেন। বিয়ের পর সবার হাতে তুলে দিলেন বাসন, পোশাক সহ একাধিক জিনিসপত্র। মুখ্যমন্ত্রী এরপর জানিয়েছেন, “আমি আপনাদের পাশে সবসময় আছি। আশীর্বাদ করি যাতে আপনারা সবাই ভালো থাকুন। রাজ্য সরকার সবরকম পরিস্থিতিতে সবসময় আপনাদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকবে।” এছাড়াও বিবাহ আসরের পাশেই নাচে মেতে ওঠা আদিবাসী মহিলাদের সাথে পায়ে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী যুবতীদের সাথে নাচতে শুরু করেন।

আদিবাসীরাও মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের দিদির মতো বিয়ের দিনে পাশে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের সাহায্য করায় আমরা খুবই খুশি হয়েছি। বিয়ের পর সংসার পাতার জিনিস পেয়েছি আমরা। আমরা এখন মাসে রোজগারের টাকা ঠিক সময় পেয়ে যাচ্ছি। বিয়ে করে সংসার চালাতে আর কোনো অসুবিধা হবে না।” এছাড়াও এদিন উত্তরবঙ্গে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানোর কথা বলেছে মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন যা সমিতির দৈনিক মজুরি ছিল ১৭৬ টাকা। তবে এবার তাদের মজুরি আরো ২৬ টাকা করে বৃদ্ধি করা হলো। এছাড়াও বাগান শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের ঘর করে দেওয়া হবে।