বিরোধী জোট তৈরিতে ইতিমধ্যেই উঠে-পড়ে লেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তা ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় আগামী ২৮ শে জুলাই থেকে হয়তো সেই কাজে গতি আনতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আগামী ২৮ শে জুলাই দিল্লির বঙ্গভবনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে। আগামী ২৬ শে জুলাই দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে তার। তার আগে শুক্রবার দিল্লিতে দলীয় সাংসদরা তাকে সর্বভারতীয় তৃণমূল এর সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন মনোনীত করলেন।
২৬ থেকে ৩০ শে জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি, এমনটাই সূত্রের খবর। এছাড়াও সংসদের সেন্ট্রাল হলে গিয়ে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তার পাশাপাশি, এই বৈঠক থেকে হয়তো বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করার প্রথম মাইলফলক স্থাপন করবেন মমতা।
সম্ভাব্য বৈঠকের কথা জানাজানি হতেই ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। তার পাশাপাশি একুশে জুলাই থেকে তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষে নেতৃত্ব শোনার জন্য বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
দিল্লির কনস্টিটিউশনাল ক্লাবের জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রীর প্রকৃত সোনার আয়োজন করা হয়েছিল সকলের জন্য। তৃণমূল সাংসদরা ছাড়াও এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন এনসিপি’র প্রধান শরদ পাওয়ার, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি চিদাম্বরম এবং দিগ্বিজায় সিংহ। তার পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন এবং টিআরএস আরজেডি এবং ডিএমকে সাংসদরা এই বক্তৃতা শুনতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
আগামী ২৮শে জুলাই বঙ্গভবনে তাদের সকলের সাথে একসাথে বসে একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্ভাব্য, এই বৈঠকে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত থাকতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা। এই কারণে আঠাশে জুলাই তারিখের এই হাইপ্রোফাইল বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিজেপি সহ প্রত্যেক দলের রাজনৈতিক নেতারা।