ব্লকস্তরে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ভাঙনের মাঝেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ উপস্থিত। ২০২০ সালের ২২ এপ্রিল অবসর নিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার তিন সাংসদ। এই তিন সাংসদ হলেন চিত্রশিল্পী ও অধ্যাপক যোগেন চৌধুরী, সাংবাদিক আহমেদ হাসান ইমরান এবং ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ কেডি সিং।
এই সাংসদদের স্থানে কাদের নতুন সাংসদ পদ দেওয়া হবে সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে। সূত্রের খবর তিনি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সময় অনেক স্থায়ী সাংসদদের তিনি বাদ দিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে এখনো ক্ষোভ আছে। স্থায়ী সাংসদদের অনেকেই তখন বিজেপিতে যোগদান করে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দলের এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘আমরা দেখেছি যে লোকসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহার, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, বোলপুর, বসিরহাট এবং কৃষ্ণনগর থেকে স্থায়ী সংসদ সদস্যদের বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং এটি কিভাবে ভোটের ফল’কে প্রভাবিত করেছিল। অতএব, এবার রাজ্যসভা আসনের প্রার্থী বাছাই করার বিষয়ে আমাদের সুপ্রিমো খুব যত্নবান। পুরো কৌশলটি হলো কাউকে হতাশ না করা, কিন্তু কাজটা ঠিকভাবে হয়ে যাওয়া।’ ওই প্রবীণ নেতার আরও বক্তব্য, ‘সিনিয়র নেতৃত্বের সাথে পরামর্শের পরেই নাম চুড়ান্ত করা হবে এবং কোনও ঘোষণা করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জেলার দলীয় সভাপতির সাথে বৈঠক করবেন।’
জল্পনা চলছে যে ওমপ্রকাশ মিশ্র বা মৌসুম বেনজির নূর, যারা দু’জনই সাম্প্রতিক সময়ে কংগ্রেস থেকে টিএমসিতে এসেছিলেন, তারাও মনোনয়ন পেতে পারেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার লোকসভা ভোটে পরাজিত দলের একজন প্রবীণ নেতা এবং একজন প্রবীণ সাংবাদিকও রাজ্যসভা প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।